বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে পোস্টার লাগিয়েছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এর প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে লেজুড়বৃত্তিক ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে বিজয় একাত্তর হল গেটে বিক্ষোভ করে প্রভোস্ট বরাবর স্মারকলিপি দেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এসময় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনাকারীদের ঘটনা তদন্ত করে শোকজের দাবি জানায় তারা।
পরে প্রতিবাদস্বরূপ শিক্ষার্থীরা বিজয় একাত্তর হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, কবি জসীম উদ্দিন হলে লাগানো পোস্টার ছিড়ে ফেলেন। পরে বিভিন্ন হল থেকে মিছিলে নিয়ে ভিসি চত্বরে উপস্থিত হন। এ সময় বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিজয় একাত্তর হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। যে চেতনা ও উদ্দেশ্য নিয়ে ১৭ জুলাই হল থেকে ছাত্রলীগ বিতাড়িত করা হয়েছে, এমন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সে চেতনাকে অবমূল্যায়নের শামিল বলে আমরা মনে করি। হলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে হল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলেও উদাসীনতাই আমরা লক্ষ করেছি। হল এরিয়ায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে উদাসীনতার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এতে আরও বলা হয়, এখন পর্যন্ত যেসব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড হল এরিয়ায় পরিচালিত হয়েছে সেগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত শোকজ করে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি হলগেট ও হলের অভ্যন্তরে থাকা সব ধরণের রাজনৈতিক ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার অতিসত্ত্বর অপসারণ করার দাবি জানাচ্ছি। পরবর্তীতে এমন কোন অপ্রীতিকর কর্মকাণ্ড যেন হলে না হতে পারে এজন্য স্পষ্ট নীতিমালা সম্বলিত একটি নোটিশ হল প্রশাসন থেকে দ্রুত দিতে হবে।
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা গত ১৭ জুলাই ছাত্রলীগকে হল থেকে বের করে দিয়ে দাসত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছি। আমরা সেদিনই হলের প্রভোস্টের কাছে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যাপারে নিশ্চয়তা নিয়েছিলাম। কিন্তু আমরা দেখছি ফের আমাদের হলে রাজনীতি ঢোকানোর পাঁয়তারা করা হচ্ছে। আমরা এ ধরনের কোনো অপচেষ্টা মেনে নেব না। আমরা আবার গণরুম, গেস্টরুম চাই না। কোনো ধরনের শিক্ষার্থী নির্যাতনের রাজনীতির দিকে ফিরে যেতে চাই না।
আপনার মতামত লিখুন :