জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অটোপাস দেবে না। এই বিশ্ববিদ্যালয় অটোপাস দিলে বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের প্রশাসনকে চাপ দিয়ে কোনো লাভ হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে যা যা করণীয় তা করা হবে। দেশের শতকরা ৭০ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।
আর বাকি সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করে মাত্র ৩০ ভাগ। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার দরকার। বিশ্ব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ এসব কথা বলেন। বুধবার দুপুরে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে। পরে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উড়িয়ে, শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে। পরে সিন্ডিকেট হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এ এস এম আমানুল্লাহ। এতে প্রো-ভিসি প্রফেসর মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল হোসেন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এনামুল করিম, কর্মকর্তা শেখ মুজাহিদুল ইসলাম, আব্দুল হাই সরদার, ইকবাল হোসেন, শিক্ষার্থী সৌমিক দাস স্বচ্ছ, জান্নাতুল ফেরদৌস রেখা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত সময়ের কার্যক্রমের সমালোচনা করে বলেন, গত ১৫ বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার কোটি টাকা কোথায় গেছে, কাদের দিয়েছে- নিজেদের পদ-পদবি ঠিক রাখার জন্য। যার যার ইচ্ছামতো পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জনগণের টাকা ইচ্ছামতো শ্রাদ্ধ করা হয়েছে। এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আর কোনো সিন্ডিকেট চলবে না। আমাদের কোনো কিছুতে চাপ দিয়ে লাভ হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে, জাতির স্বার্থে যেখানে যেটা দরকার সেটাই আমরা করবো। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি জাতীয় মানের আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় করতে চাই। তিনি আরও বলেন, একসময় পৃথিবীর যে সকল দেশের মানুষ একসময় আমাদের দেশে ভিক্ষা করতে আসতো আজকে আমরা তাদের দেশে যাই ভিক্ষা করার জন্য। যে দেশের মানুষ আমাদের ঢাকা শহরে আসতো টুপি-তসবি বিক্রি করতে, আজ আমরা তাদের দেশে যাই বিশ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করার জন্য। অথচ চেতনা বাস্তবায়নের নামে, ইতিহাস বিকৃতি করে দেশটাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে গেছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও একই অবস্থা। সূত্র : মানবজমিন
আপনার মতামত লিখুন :