সুজন কৈরী: [২.১] কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন ঘিরে হতাহতের ঘটনায় দায়ীদের বিচারের দাবিতে শুক্রবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘দ্রোহযাত্রা’ নামে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থী-জনতা।
[২.২] দুই ঘণ্টা বিক্ষোভ শেষে রোববারের মধ্যে কারফিউ প্রত্যাহার, গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু এবং সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন তারা। দাবি মানা না হলে ওইদিন বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে গণমিছিলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম।
[৩] দুপুর আড়াইটার দিকে প্রেস ক্লাব থেকে শহীদ মিনারের উদ্দেশ্য দ্রোহযাত্রা শুরু করে শিক্ষক-জনতা। দ্রোহযাত্রার সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
[৪] তিনি বলেন, সমাবেশে উপস্থিত মানুষের দাবি এখন একটাই, এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে আনতে হবে। সরকারের কাছে কোনো কিছু চাওয়ার নেই উল্লেখ করে আনু মোহাম্মদ বলেন, তবে অনেক বিচার বকেয়া রয়েছে। ‘জুলাই হত্যাকাণ্ডের’ বিচার করতে হবে। এখন প্রধান এজেন্ডা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রূপান্তর কীভাবে হবে, সেটা নিয়ে।
[৫] দ্রোহযাত্রায় অংশ নেন জনস্বাস্থ্যবিদ মুশতাক হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সি আর আবরার, উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক মাহা মির্জা, শিক্ষক রেহনুমা আহমেদ, আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল, সামিনা লুৎফা, লেখক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২