শিরোনাম
◈ কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান? (ভিডিও) ◈ যুবককে কুপিয়ে হত্যা, কেটে নিয়ে গেল হাত (ভিডিও) ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম ◈ ‘দেহ ব্যবসা’র ভিডিও প্রতিবেদন ইস্যুতে সোহানা সাবার হুঁশিয়ারি ◈ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইতালির মোনফ্যালকনে ◈ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি সাক্ষাতে ঢাকার অনুরোধ, এখনো চুপ দিল্লি ◈ হদিস মিলছে না পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল ◈ ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি, যুবদল নেতাকে পুলিশে দিলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ২৬ জুলাই, ২০২৪, ০৮:২৮ রাত
আপডেট : ২৬ জুলাই, ২০২৪, ০৮:২৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হলের ৩০০ কক্ষ ভাঙচুর, সংস্কারের পরই চালু হবে শিক্ষা কার্যক্রম: ঢাবি উপাচার্য

রিয়াদ হাসান: [২] কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোকেয়া হল এবং স্যার এ এফ রহমান হল পরিদর্শন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এ সময় তিনি বিভিন্ন হলের ৩০০টি কক্ষ ভাঙচুর হয়েছে বলে জানান। এছাড়া কবে বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে পারে সে বিষয়ে ধারণা দিয়েছেন।

[৩] শুক্রবার (২৬ জুলাই) দুপুরে হল দুটি পরিদর্শন শেষে এসব জানান তিনি। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

[৪] সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, অর্থপ্রাপ্তির বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। এটা ইউজিসি থেকে আসবে। এরপর পিপিআর মেনে টেন্ডার হবে। সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে হলগুলো খুলে দেওয়া হবে।

[৫] গত ১৬ জুলাই সংঘর্ষের শুরুর ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, সেদিন ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল হলপাড়াখ্যাত বঙ্গবন্ধু হল, কবি জসীমউদ্দিন হলের দিকে আসে। দুপুরের সময় প্রভোস্টরাও হলে ছিলেন না, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদের জানা ছিল না। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি প্রভোস্টদের টেলিফোন করেছি। প্রক্টরিয়াল টিমকেও বলা হয় সেখানে যাওয়ার জন্য। ততক্ষণে সেখানে মারামারি শুরু হয়ে যায়। এরপর আমরা দেখলাম, সবার হাতে লাঠি। এ সময় প্রক্টরিয়াল টিম সেখানে পৌঁছাতে পারেনি। প্রভোস্টরা বিভিন্ন জায়গায় আটকা পড়ে গেছেন।

[৬] ঢাবি উপাচার্য বলেন, সেখানে গিয়ে আমরা বস্তুত কী অর্থে মারামারি থামাব। কারণ, দু’পক্ষের হাতেই লাঠি এবং শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগ অপরিচিত, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যদেরও তারা চেনে না। মুহূর্তের মধ্যে বিষয়টা হয়ে গেল।

[৭] মাকসুদ কামাল বলেন, আমাদের প্রস্তুতির কোনো ঘাটতি ছিল না। আমাদের যদি জানা থাকত একটা মিছিল এদিকে আসবে। তখন আমাদের প্রস্তুতিটা থাকত। আকস্মিকভাবে ঘটনা ঘটে গেল সব। আর মুহূর্তের মধ্যে মারামারি শুরু হয়ে গেল। 

[৮] উপাচার্য বলেন, আমি রুম থেকে বের হয়ে সেদিকে যাব দেখলাম সবার হাতে লাঠি। ততক্ষণে আমি সব প্রভোস্টের সঙ্গে কথা বলেছি। হাউজ টিউটরদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। প্রক্টরিয়াল টিমকে জনে জনে টেলিফোন করে জানতে চেয়েছি, পরিস্থিতি কী। তখন আমাদের মলচত্বর থেকে মবটা চলে গেছে সামনের দিকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যতটুকু করণীয় ছিল, আমাদের করণীয়-দায়িত্বটুকু আমরা পালন করেছি।

[৯] পরিদর্শনকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. সীতেশ চন্দ্র বাছার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আবু হোসেন মুহম্মদ আহসান এবং সংশ্লিষ্ট হলের প্রাধ্যক্ষরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

আরএইচ/কে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়