শিরোনাম

প্রকাশিত : ২১ জুলাই, ২০২৪, ০৫:১৭ সকাল
আপডেট : ২৩ জুলাই, ২০২৪, ১১:২০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আট দফা ঘোষণার পরও আলোচনায় নয় দফা

রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত বৈঠক থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট ঘোষণা বা সিদ্ধান্ত আসেনি।

শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাদের আট দফা দাবি মানলেই কেবল কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি নিয়ে আলোচনা করতে সম্মত হবেন তারা। সূত্র : বিবিসি বাংলা

তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, গত কয়েকদিনে হত্যার ঘটনায় দায়ীদের বিচার, উসকানির জন্য ছাত্রলীগ এবং সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনা এবং শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সময়ে নিষ্ক্রিয় থাকা উপাচার্য ও প্রক্টরদের পদত্যাগ।

এছাড়া, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দায়ের সকল মামলা প্রত্যাহার এবং জড়িতদের ভবিষ্যতে হয়রানি না করার নিশ্চয়তাও চাওয়া হয়েছে তাদের উত্থাপিত দাবিতে।

বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সাথে কথোপকথনে যৌক্তিক সমাধানের আশাবাদ জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

অন্যদিকে, শুক্রবার নয় দফার একটি দাবিনামা নিয়ে আলোচনা হলেও সেটির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছানো যায়নি বলে বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছিলেন অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।

যদিও শনিবার ঢাকা থেকে প্রকাশিত পত্রিকাগুলোতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তরফে নয় দফা দাবির কথা ছাপা হয়। এই নয় দফায় ছাত্রহত্যার দায় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রীর মন্ত্রিপরিষদ এবং দল থেকে পদত্যাগের দাবি করেছেন তারা।

যেসব স্থানে ছাত্র নিহতের ঘটনা ঘটেছে সেখানকার দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তাদের অপসারণও দাবি করছেন তারা। পাশিপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরের পদত্যাগ, নিহত ও আহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হল খুলে দেয়া এবং হয়রানি না করার দাবি তুলেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই অংশটি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়