শিমুল চৌধুরী ধ্রুব: [২] বুধবার বিকেলে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে মঙ্গলবার নিহত ছয়জন ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধসহ হল ছাড়ার ঘোষণার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে আন্দোলনকারীরা।
[৩] বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে ভিসি চত্বরে গায়েবানা জানাজা করে কোটা আন্দোলনকারীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এ কর্মসূচি পালন করে আন্দোলনকারীরা।
[৪] গায়েবানা জানাজা শেষে আন্দোলনকারীরা রাজু ভাস্কর্যের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর আন্দোলনকারীরা মল চত্বরের দিকে অবস্থান নিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে দেখা যায়। পুরো এলাকায় বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল।
[৫] পুলিশের টিয়ারসেল ও সাউন্ডগ্রেনেড নিক্ষেপে আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি অন্তত পাঁচজন সংবাদকর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তারা হলেন, সাবিব (৩৩), জীবন (২৫), সোলাইমান (২৬), তারেক (২৫), ভাস্কর ভাধুরী। তারা টিএসসির রাজু ভাস্করদের সামনে আহত হয়।
[৬] এ সময় ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক ও আইন বিভাগের ছাত্র আখতারুজ্জামান ও তার সঙ্গে আরো তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু কী অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে, সে বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
[৭] বুধবার অনির্দিষ্ট কালের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ও ছাত্র-ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে অনেক শিক্ষার্থী শুরুতে হল না ছাড়ার কথা বললেও সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাদেরকে হল ছাড়তে দেখা যায়।
[৮] ঢাবি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বঙ্গবন্ধু হল, মাস্টারদা সূর্যসেন, বিজয় ৭১, জিয়াউর রহমান ও জসিম উদ্দিন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা হল ছাড়ছেন। শিক্ষার্থীরা মহসিন হলের পেছনের ফটক হয়ে নীলক্ষেত অভিমুখে যে যার গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন। এ সময় তারা সঙ্গে করে বইসহ প্রয়োজনীয় ব্যাগ বহন করে যেতে দেখা গেছে।
[৯] ক্যাম্পাসের ভেতরে এবং চারপাশে পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা অবস্থান করায় দুপুরের পর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজমান ছিলো। কারণ পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ক্যাম্পাসে কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছিলেন না। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিলো। সম্পাদনা: এম খান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :