রিয়াদ হাসান: [২] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে ১০ জন শিক্ষার্থী, দুই সাংবাদিক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
[৩] বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে শহীদ মিনার ও নতুন রেজিস্ট্রার ভবনের সামনের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
[৪] জাবি মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজওয়ানুর রহমান জানান, রাবার বুলেটবিদ্ধ অন্তত ৩০ জন মেডিকেল সেন্টার থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
[৫] শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী থেকে জানা যায়, হল ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্যসহ আরও কয়েকজন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
[৬] পরে শহীদ মিনারের এক পাশে শিক্ষার্থী ও অপর পাশে পুলিশ অবস্থান নেয়। তখন থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় আলোচনা ও উত্তেজনা চলছিল।
[৭] বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীদের শহীদ মিনার এলাকা থেকে সরে যেতে বলে পুলিশ। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সরে না যাওয়ায় পুলিশ তাদের ওপর জলকামান থেকে পানি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
[৮] এরপর শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে আশেপাশে অবস্থান নেয় এবং কিছু শিক্ষার্থী হলের দিকে চলে যায়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুলিশ বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
[৯] আন্দোলনকারী কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আমরা জড়ো হয়ে মিছিলে স্লোগান দিচ্ছিলাম। পরে দুপুর ১২টা থেকে আমাদের মুখোমুখি দাঁড়ায় পুলিশ। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের উসকানি ছাড়াই তারা ৫টার পর থেকে আমাদের ওপর হামলা শুরু করে।
[১০] এর আগে, সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেটের এক জরুরি সভায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২