সাদেক আলী: [২] কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার নিন্দা ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন দেশের ১১৪ বিশিষ্ট নাগরিক। তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের দাবির প্রতি সমর্থনও জানিয়েছেন।
[৩] বিবৃতিতে বলা হয়, সোম ও মঙ্গলবার কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর নির্বিচারে হামলা চালানো হয়েছে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পিস্তল, রড, লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে এ হামলা করেন। হামলায় নারী শিক্ষার্থীরাও রেহাই পাননি। মঙ্গলবারের হামলায় কয়েকজনের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
[৪] বিবৃতিতে বলা হয়, হামলা, কয়েকজনকে হত্যা করা এবং শত শত শিক্ষার্থীকে আহত করা দেশের প্রচলিত আইনে গুরুতর ফৌজদারি অপরাধ। হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগে থাকা অবস্থায় তাঁদের ওপর আবারও হামলা চালানো হয়েছে, যা মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য।
[৬] এসব হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেন তাঁরা। হামলা প্রতিরোধে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতার নিন্দা জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।
[৭] বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অধ্যাপক পারভীন হাসান, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক সি আর আবরার, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, পরিবেশকর্মী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্বপন আদনান, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ, অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, সাংবাদিক কামাল আহমেদ, শাহনাজ হুদা, মাহা মির্জা, আইনুন নাহার, মানস চৌধুরী, অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, মানবাধিকারকর্মী শিরিন প হক, অধ্যাপক ফিরদৌস আজিম, নূর খান, হানা শামস আহমেদ, রেজাউর রহমান লেলিন, তবারক হোসেইন, নায়লা জেড খান, রানী ইয়েন ইয়েন, নির্মাতা আশফাক নিপুন, আলতাফ পারভেজ, রায়হান রাইন, ফয়জুল লতিফ চৌধুরী, কল্লোল মোস্তফা, ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, জাকির তালুকদার প্রমুখ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব