সোহাগ হাসান, সিরাজগঞ্জ: [২] সিরাজগঞ্জে পুলিশ ও কোটা আন্দোলনকারীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট পাটকেল ও টিয়ালশেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে।
[৩] মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকালে সিরাজগঞ্জ শহরের রেলগেট এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার সময় ৮ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
[৫] আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সিয়াম (১৯) ও জিসান’কে (২০) সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে নাবিল, সৈকত নয়ন ও ইমনের নাম জানা গেছে।
[৬] আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, সিরাজগঞ্জ ২ নম্বর পুলিশ ফাঁড়ি পরিদর্শক এসএম কামাল, গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সৌমিক হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ানুল ইসলাম, ডিএসবির উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলামসহ পাঁচজন।
[৭] স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শহরের ইসলামিয়া কলেজ রোড ও স্টেডিয়াম রোড ও সদর হাসপাতাল রোড পর্যন্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এখনও থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে।
[৮] কোটা আন্দোলনকারী নাবিল ও জানায়, আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে রেলগেট এলাকায় পৌঁছলে পুলিশ বাঁধা দেয়। এসময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ছাত্রদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন।
[৯] সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করা হয়েছে।
[১০] সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজওয়ানুল ইসলাম জানান, আন্দোলনকারীরা রেলগেট এলাকায় মিছিল নিয়ে পৌঁছলে তাদের ভেতরে থাকা বহিরাগতরা পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তখন পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :