আশরাফ চৌধুরী রাজু, সিলেট: [২] সিলেট মহানগরের চৌহাট্টায় বিকাল ৩টা থেকে অবস্থান নিয়েছে আন্দোলন বিরোধীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে তারা এ অবস্থান নেন। এসময় বিরোধীদের হাতে বাঁশ, লাঠিসহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র দেখা যায়।
[৩] এদিকে, বিকাল ৪টার দিকে মহানগরের বন্দরবাজারে আন্দোলনকারীরা জড়ো হতে শুরু করলে খবর পেয়ে বিরোধীরা গিয়ে তাদের ধাওয়া করে। এসময় আন্দোলনকারীরা সরে যায়।
[৪] সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
[৫] তবে সিলেটে চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনে ‘ভাঙনের’ সুর উঠেছে। কোটা আন্দোলনকে ‘সরকারবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে রোববার রাতে নিজের দায়িত্ব ছেড়েছেন আন্দোলনের সিলেট অঞ্চলের সহ-সমন্বয়ক নূর মো.বায়েজীদ। তিনি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) গণিত বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। সোমবার (১৫ জুলাই) তিনি কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেননি।
[৬] শাবিছাত্র নূর মো. বায়েজিদ এই আন্দোলনের প্রথম থেকে সক্রিয় ভূমিকায় থাকলেও রোববার (১৪ জুলাই) থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে সমন্বয়কের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
[৭] জানা গেছে, বায়েজিদ তার পদ থেকে অব্যাহতি নেয়ার আগে কোটা আন্দোলনকারীদের একটি ভার্চ্যুয়াল গ্রুপে দুঃখ প্রকাশ করে তার মতামত প্রকাশ করেন।
[৮] সেখানে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মেধার মূল্য না কোনো দিন ছিল, না আছে, থাকবে কি না সেটাও জানি না। এই দেশ সারাজীবন টাকা-ক্ষমতা আর পা-চাটাদের হাতেই বন্ধি ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। আমি এই বিশ্বাস নিয়ে আন্দোলনে এসেছিলাম যে, সকল প্রকার দলমতের ঊর্ধ্বে গিয়ে বাংলাদেশের সকল সাধারণ ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করতে ন্যায়ের পক্ষে। কিন্তু, ইদানিং আমার সমন্বয়ক কমিটির কিছু বন্ধুসহ, শাবিপ্রবিতে আমার আন্দোলনের সাথে থাকা অনেক সহকর্মীদের কথাবার্তায় আমার কাছে মনে হচ্ছে- তারা এই আন্দোলনে এসেও তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা বজায় রেখে সরকারবিরোধী কার্যকলাপে লিপ্ত হতে যাচ্ছে। যা এই আন্দোলনের মূল মোটিভকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। তাই আমি সজ্ঞানে চিন্তাভাবনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হলাম যে, আমি আর এই আন্দোলনের সাথে নেই। ১৯৫২ সালের ভাষা শহীদ এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এবং গাজী হওয়া সকলকে স্মরণ করার মাধ্যমে আমি এই আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়ালাম।’
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :