শিরোনাম
◈ হিরো আলমের সিনেমা ‘আরাফাতের চার বউ’ ও ‘মাস্তান হারুন’ ! ◈ চিত্রনায়ক ফেরদৌসের বিরুদ্ধে মামলা ◈ বন্যায় ১২ জেলার ২ হাজার মোবাইল টাওয়ার অচল, পাঠানো হয়েছে ভি-স্যাট, কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল ◈ পরিস্থিতি অনুকূল নয়, বাংলাদেশ সফরে আসছে না নিউজিল্যান্ড ! ◈ রাজধানীর আদাবর থানায় সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা ◈ গোমতীর বাঁধ ভেঙে গেলে পানিতে তলিয়ে যাবে শহর, আতঙ্কে কুমিল্লা নগরবাসী ◈ উপজেলা পাইকগাছায় বেড়িবাঁধ ভেঙে প্রায় ১৩টি গ্রাম প্লাবিত ◈ এক দফা দাবিতে উত্তরা-শাহবাগে আনসারদের অবরোধ ◈ হালদার বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকছে পানি, পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা ◈ ‘মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা কলার পাতা খেয়ে বেঁচে আছেন’ !

প্রকাশিত : ১৬ জুলাই, ২০২৪, ০৫:৩৭ সকাল
আপডেট : ১৬ জুলাই, ২০২৪, ০১:৩৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুলিশের রাবার বুলেটে জাবি শিক্ষক আহত

ডেস্ক রিপোর্ট: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী-পুলিশ-ছাত্রলীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষে দুই অধ্যাপকসহ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, আন্দোলনকারীদের দমাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে পুলিশ গুলি চালালে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার মো. লুৎফুল ইলাহী মারাত্মকভাবে আহত হন। সন্ধ্যায় আন্দোলনকারী ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষ থামাতে গেলে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. আওলাদ হোসেন আহত হন। এছাড়া রাতভর সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয় পক্ষের অন্তত শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিন প্লাটুন পুলিশ কাজ করছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নুরুল আলমের বাসভবনে আশ্রয় নিলে তাদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। প্রথমে পুলিশ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এসে আন্দোলনকারীদের সাথে যোগ দিলে পুলিশও সংঘর্ষে জড়ায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো তুমুল সংঘর্ষ চলছে।

এদিকে সোমবার সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় তাদের ওপর হামলা হয়। এতে অর্ধশতাধিক ছাত্রছাত্রী আহত হন। রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনার বিচার চেয়ে ও অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বিতাড়িত করতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটক ছেড়ে রাস্তায় চলে যান। পরে রাত পৌনে দুইটার দিকে ফটক ভেঙে বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। এ সময় বেশ কয়েকটি পেট্রলবোমা ছুড়ে বাসভবনের প্রধান ফটকের লাইটসহ বিভিন্ন লাইট ভাঙচুর করেন তারা। এরপর আন্দোলনকারীদের মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপাচার্য বাসভবনেই ছিলেন বলে জানা গেছে।

সেসময় এক ফেসবুক পোস্টে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহের হোসেন লিখেছেন, ‘ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা ঢুকেছে। ছাত্রছাত্রীরা ভয়ে ভিসি মহোদয়ের বাংলোতে আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসনকে নিরাপত্তা বিধানের অনুরোধ করছি। যা কিছুই হোক, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে।’

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা, তার শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ মিছিল করছিলেন। মিছিলে ছাত্রলীগ তাদের ওপরে অতর্কিত হামলা করে। ছাত্রলীগের এই হামলায় তাদের একজন শিক্ষক পর্যন্ত আহত হয়। এই সময় প্রক্টোরিয়াল টিম এবং কোনো নিরাপত্তা কর্মকর্তা উপস্থিত ছিল না। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকে সন্ত্রাসী এনে তাদের ওপরেই হামলা চালানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ অভিভাবক এজন্য তারা তার কাছে বিচারের দাবিতে এসেছিলেন।

ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আবদুল্লাহ হিল কাফী বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।' তবে সার্বিক পরিস্থিতির ব্যাপারে এখনো বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কারোর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।’ সূত্র: আরটিভি

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়