সাদেক আলী: [২.১] জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভরত কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে ছাত্রলীগ। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ হামলা হয়। এতে বহিরাগতসহ ছাত্রলীগের দেড় শতাধিক নেতাকর্মী অংশ নেন বলে অভিযোগ করেন কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
[২.২] এরপর কোটাবিরোধীরা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে, শুরু হয় দু’পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দু’পক্ষের ওপরই চড়াও হয় পুলিশ, লাঠিচার্জের পাশাপাশি কয়েক রাউন্ড টিয়ার সেল ছোঁড়ে।
[৩] কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা বলেন, হামলাকারী ব্যক্তিদের অধিকাংশের মাথায় হেলমেট ও হাতে ধারালো অস্ত্র ছিলো। তারা কয়েকটি পেট্রলবোমা ও হাত বোমা ছোঁড়ে। হামলা থেকে বাঁচতে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নেন। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
[৪] বহিরাগতদের বহিস্কারের দাবিতে সোমবার রাত সাড়ে আটটা সন্ধ্যা থেকেই উপাচার্যের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ করে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীরা। রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটক ছেড়ে রাস্তায় চলে যান। ফিরে আসেন রাত পৌনে দুইটার দিকে। তাদের ধাওয়ার কোটাবিরোধীরা ভিসির বাসভবন চত্ত্বরে ঢুকে পড়লে ফটক ভেঙে বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় বেশ কয়েকটি বোমা ছুঁড়েন বাসভবনের ভেতরে। বাসভবনের প্রধান ফটকের লাইটসহ অনেকগুলো লাইট ভাঙচুর করেন। এরপর আন্দোলনকারীদের মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উপাচার্য বাসভবনেই ছিলেন বলে জানা গেছে।
[৫] এর আগে সোমবার সন্ধ্যার পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকায় তাদের ওপর হামলা হয়। এতে অর্ধশতাধিক ছাত্রছাত্রী আহত হন। রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনার বিচার চেয়ে ও অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বিতাড়িত করতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :