সুজন কৈরী: [২] দিনব্যাপী সংঘর্ষের পর সোমবার রাতে ঢাবি উপাচার্যের বাসভবনে জরুরি বৈঠকে বসে প্রভোস্ট কমিটি। উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এই সভা শেষে রাত ৮টার দিকে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে পাঁচ নির্দেশনা দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
[৩] নির্দেশনাগুলো হলো: শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব হলে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন। প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষকগণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা বিধানে সার্বক্ষণিকভাবে হলে অবস্থান করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। হলসমূহে কোনো বহিরাগত অবস্থান করতে পারবেন না। যেকোনো ধরনের গুজব ও অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো হচ্ছে। সকলকে নাশকতামূলক কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য বলা যাচ্ছে। কেউ নাশতকতামূলক কাজে জড়িত হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[৪] এছাড়াও সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
[৫] এদিকে সোমবার রাতে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ জাভেদ হোসেন শিক্ষার্থীদের হলে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করলে শিক্ষার্থীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। তারা বহিরাগতদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়ার দাবি জানান।
[৬] ওই সময়ে সেখানে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের হাতে সবকিছু নেই। সুযোগ থাকলে আমরা বহিরাগতদের আগেই সরিয়ে দিতাম। এখন আমরা হল প্রভোস্ট ও হাউস টিউটরদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হলের ভেতরে প্রবেশ করিয়ে বহিরাগত যারা আছে তাদের বের করার ব্যবস্থা করবো। শিক্ষার্থীদের হলে ঢোকানোর আগে বহিরাগতদের বের করাটা কঠিন হচ্ছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :