আরমান হোসেন, ঢাবি: সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে দুপুর থেকে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে।
বিক্ষোভে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ঢাকা কলেজ, বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, ঢাকা নার্সিং কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীদের স্লোগানের মধ্যে রয়েছে, চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘কে বলে রে রাজাকার, ধিক্কার ধিক্কার, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।’
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম দুপুরে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত দাবিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করলে আমাদের দাবিয়ে রাখার ক্ষমতা কারও নেই। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে মেধাকে প্রাধান্য দেওয়ার বিকল্প নেই। ৫৬ শতাংশ কোটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে যায় না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর রোববারের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের আশাহত করেছে। আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, কোটার যৌক্তিক সংস্কার। আমরা যেন দ্রুত পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে পারি, সেই ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
এই সমন্বয়কারী বলেন, আমাদের আন্দোলন নিয়ে অনেক সাংবাদিক বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। সাংবাদিক নামধারী হাতেগোনা কয়েকজন সাংবাদিকতা পেশাটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাদের হলুদ সাংবাদিকতা বন্ধ করতে হবে।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মাহিন সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডের কোটার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে আমরা রোববার সরকারকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছি। এ বিষয়ে এখনো কোনো সাড়া পাইনি।
এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন থেকে আসা বক্তব্যে ছাত্রসমাজ বিক্ষুব্ধ হয়েছে। এর প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে মিছিল ও সমাবেশ চলছে। আন্দোলনে আসতে শিক্ষার্থীদের বাধা দিয়েছে ছাত্রলীগ। তারা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দিয়েছে। এতে ছাত্রসমাজ আরও বিক্ষুব্ধ। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
আপনার মতামত লিখুন :