রবি প্রতিনিধি: [২] রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে (রবি) এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে নানা গুঞ্জন। ঘটনাটি নিয়ে ফেসবুকে একাধিক শিক্ষার্থী নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।
[৩] ১১ জুলাই রাত আনুমানিক ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-১ সংলগ্ন বিসিক বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
[৪] এবিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সরকার নিজেকে সাধারণ শিক্ষার্থী দাবি করে বলেন, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাবের একটি প্রোগ্রাম নিয়ে আমরা বিসিকে কথা বলছিলাম। এর মধ্যে আজিম চৌধুরী এবং কয়েকজন সিনিয়র ভাই একটি বিষয়ে আলোচনার জন্য আসেন। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু জাফর ভাইয়ের সাথে ছাত্রলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে আজিম তর্কাতর্কি শুরু করেন। আমি জাফর ভাইয়ের সাথে থাকায় ওর (আজিম) রাগ কন্ট্রোল করতে না পেরে, জাফর ভাইকে না মারতে পেরে আমাকে মারে।
[৫] বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মী আজিম চৌধুরী বলেন, প্রথমে তর্কাতর্কি হয়। আমি সেভাবে মারতে যাইনি। ওই (ওমর ফারুক সরকার) প্রথমে এসে রীতিমতো আমার শার্টের কলার ধরে ফেলে। আমি আত্মরক্ষার্থে তাকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছি। তিনি উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ওরা এমন ভাবে ঘটনাটা সাজিয়েছে যেন আমরাই ওদের মারতে গিয়েছি।
[৬] রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান তুহিন, দুজনেই ছাত্রলীগের কর্মী দাবি করে বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়া বন্ধের বিষয়ে আলোচনা করছিলাম। কথার মধ্যেই সহ-সভাপতি জাফর ভাই, একটি কথা বলে ওঠেন। আজিম সেটা প্রমাণ করতে বললে, আজিমকে মারতে যান। আজিমও এক পর্যায়ে এগিয়ে আসলে ওমর ফারুক আজিমকে মারতে হাত বাড়ান। সিনিয়ররা মাঝে থাকায় হাত আজিমের কাছ পর্যন্ত পৌঁছায় না। পরে আজিম ওমর ফারুককে একটি চর মারেন।
[৭] এবিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফখরুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই লিখিত আকারে দেননি।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :