জবি প্রতিনিধি: [২] সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবিতে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বুধবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস) টানা দশম দিনেরমতো এসব কর্মসূচি পালন করেছে।
[৩] এদিন জবি শিক্ষকদের সাথে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম।
[৪] এসময় তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য চরম বৈষম্যমূলক ও ক্ষতিকারক। এটি এমন এক ব্যবস্থা যার ফলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আসতে চাইবে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ এটিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। সুতরাং প্রত্যয় স্কিম বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি এবং স্বতন্ত্র স্কেল প্রবর্তনও যৌক্তিক দাবি। এসব দাবি বাস্তবায়নের বিষয়ে দ্রুত শিক্ষকদের সাথে সরকার বৈঠক করতে পারেন নির্দিষ্ট কমিশন গঠন করে।
[৫] জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. মমিন উদ্দীন বলেন, আজ দশ দিন হলেও এখনো এ বিষয়ে কোনো সমাধান আসেনি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চীন থেকে আসলে হয়তো বিষয়টির সমাধান হতে পারে। আমরা ক্লাসে ফিরতে পারছি না এতে আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা চাই না আমাদের শিক্ষার্থীদের ক্ষতি হোক। আশা করছি সরকার আমাদের দাবি মেনে নেবে এবং আমরা দ্রুত ক্লাসে ফিরতে পারব।
[৬] জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতা পেশায় উৎসাহিত করতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য, তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ও সুযোগ সুবিধা ঠিক রাখতে হবে। আমাদের আন্দোলন তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য। শিক্ষকদের যে তিনটি দাবি রয়েছে তা আদায়ের জন্য সারা দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে আমরাও একাত্মতা পোষণ করে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :