অপূর্ব চৌধুরী: [২] মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এ ঘোষণা দেন কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। সূত্র: চ্যানেল ২৪ অনলাইন
[৩] নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের বর্তমান এক দফা দাবি হলো সকল গ্রেডে সকল প্রকার অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংশোধন করতে হবে। আমাদের চলমান বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ করা হবে। সড়কপথ ও রেলপথ এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
[৪] তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলন শিক্ষার্থীরা নিজেরাই তৈরি করেনি। হাইকোর্টের রায় ও সরকারের নিশ্চুপ ভূমিকার প্রেক্ষাপটে এই আন্দোলন। আমাদের আন্দোলনের ফলে জনগণের যে ভোগান্তি হচ্ছে তার দায় সরকারকে নিতে হবে। কারণ আমরা এতদিন ধরে আন্দোলন করছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত সরকার বা নির্বাহী বিভাগ থেকে কোনো আলোচনার ডাক বা আশ্বাস পাইনি।
[৫] এসময় কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা যে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি এটা কোটা বাতিলের নয় বরং বাস্তবতার সাথে সমন্বয় করে যৌক্তিক সংস্কার। বিভিন্ন গণমাধ্যম আমাদের দাবিকে বিভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করছে। এই আন্দোলন মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী নয়। বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের রিওয়ার্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলিনি।
[৬] তিনি বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতি, পোষ্য কোটার বিরোধিতা করছি। আমরা নীতিনির্ধারক, বিশেষজ্ঞ, আইনজীবী, গণমাধ্যম সবার সাথে সমন্বয় করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। দুজন শিক্ষার্থী হাইকোর্টে আপিল করেছে। যারা আপিল করেছে তারা আমাদের সাথে সম্পৃক্ত নয়। আমাদের মূল দাবিটা মূলত নির্বাহী বিভাগের কাছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ে জরিপ ও সর্বসম্মতিক্রমে ৫ শতাংশ কোটা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
[৭] এদিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে মঙ্গলবারও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। সূত্র: জাগো নিউজ
[৮] এদিন বিকেল পৌনে চারটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে সড়কের উভয় লেনে যানজট সৃষ্টি হয়। আধা ঘণ্টা পর সোয়া চারটার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন।
[৯] দুপুর ১২টায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেন সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের শিক্ষার্থীরা। এতে সারাদেশের সঙ্গে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোর সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
[১০] এদিন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এসব কর্মসূচি পালন করেন তারা। সম্পাদনা: ইকবাল খান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :