রায়হান আবিদ, বাকৃবি প্রতিনিধি: [২] সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি পুনর্বহালের সিদ্ধান্তে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার প্রতিবাদে তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থীরা।
[৩] সোমবার (৮ জুলাই) দুপুর দেড় ঘটিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড় সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষার্থীরা রেলপথ অবরোধ করে। এসময় ঢাকা থেকে আগত জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে আটকে দেয় শিক্ষার্থীরা। ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’ , ‘একাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার’ শিক্ষার্থীদের এমন স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে বাকৃবির জব্বারের মোড় এলাকা।
[৪] এর আগে বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তন সংলগ্ন মুক্তমঞ্চের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বাকৃবির কে. আর মার্কেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও ভবন ঘুরে জব্বারের মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এরপর রেলপথ অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
[৫] এসময় এক দফা দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা জানায়, ‘সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্য মূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।’
[৬] আন্দোলনরত বাকৃবির চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. লাভলি আক্তার বলেন, ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করে দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু ২০২১ সালে আবারো ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল করা হয়, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। মুক্তিযোদ্ধাদের রার্ষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা দেয়া হোক, ভাতা দেয়া হোক কিন্তু তাদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা বহাল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বেকারত্ব হ্রাস করতে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক কোটা রেখে বাকিসবকোটা বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।
[৭] বাকৃবির অন্য একজন শিক্ষার্থী বলেন, এক দফা ও এক দাবিকে সমর্থন জানিয়ে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে। সরকারি চাকরিতে নবম থেকে বিশতম গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক সকল কোটা বাতিল করা হোক। তবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কিছু কোটা বহাল রাখা যেতে পারে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :