অপূর্ব চৌধুরী: [২] কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, চার দফা দাবিকে আমরা এক দফায় নামিয়ে এনেছি। বর্তমান এক দফা দাবি হলো- সব গ্রেডে সব ধরনের অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংসদে আইন পাস করতে হবে। আমাদের প্রথম দিনের ব্লকেড কর্মসূচি সারাদেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। আমরা শাহবাগ থেকে কারওয়ানবাজার পর্যন্ত গিয়েছি আন্দোলন করতে করতে। সূত্র: জাগো নিউজ
[৩] তিনি বলেন, এক দফা দাবিতে সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে মূল ব্লকেড আন্দোলন শুরু হবে। সোমবার আমরা ফার্মগেট ছাড়িয়ে যাবো আন্দোলন নিয়ে। সারা দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে এই কর্মসূচি শুরু হবে একই সময়ে। কর্মসূচি অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে সড়ক অবরোধ করা হবে।
[৪] রোববার সন্ধ্যায় শাহবাগে আন্দোলন কর্মসূচি শেষে আন্দোলনকারীরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন। কোটা বাতিলের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন শিক্ষার্থীরা। সূত্র: চ্যানেল ২৪ অনলাইন
[৫] এদিন দুপুর থেকে রাজধানীর সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ করে রাখেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা সড়ক ছাড়েন। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে রাজধানীর শাহবাগ এবং চানখারপুল মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিকাল ৪টার দিকে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে অবস্থান নেন।
[৬] প্রায় চার ঘন্টা ধরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলে। পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টেও আন্দোলন করেন তারা। এতে রাজধানীতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
[৭] রোববার বেলা ১১টায় কোটাবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের বিক্ষোভ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত।
[৮] এদিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁও মোড় অবরোধ করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে মিরপুর-ফার্মগেট ও মহাখালী-শিশুমেলা সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
[৯] বিকাল ৪টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ী অংশে অবরোধ করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে কোটবাড়ি এলাকার দুইপাশ মিলিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গাড়ির দীর্ঘ সারি তৈরি হয়।
[১০] চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এদিন বিকেল চারটায় নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন থেকে মিছিলের মধ্য দিয়ে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেন। তবে পুলিশের বাধার মুখে মিছিলের গন্তব্য পরিবর্তন করেন তারা।
[১১] বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে চতুর্র্থদিনের মতো আন্দোলন করেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
[১২] দুপুর ১২টায় ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে করে যান চলাচল বন্ধ হয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়।
[১৩] দিনাজপুর-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে আধা ঘণ্টা পর তারা সরে যান।
[১৪] দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে আবদুল জব্বার মোড়ের দিকে যায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা থেকে জামালপুরগামী জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বেলা ১টা ১০ মিনিটে আবদুল জব্বার মোড়ে অবরোধ করেন তারা। পরে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
[১৫] বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালযয়ের শিক্ষার্থীরা। খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে অবস্থান নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
[১৬] বিকেলে বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়ক ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় মহাসড়কের উভয় পাশে বাঁশ ফেলে ফাঁকা সড়কে ফুটবল খেলেন তারা।
[১৭] যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিকাল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-চৌগাছা স্বাধীনতা সড়ক অবরোধ করেন। প্রায় ১ ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেন তারা। সূত্র: কালের কন্ঠ
[১৮] জগন্নাথ ও রাজশাহী বিশ্বাবদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। সম্পাদনা: এম খান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :