অপূর্ব চৌধুরী: [২] শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, কোটার বিষয়টি উচ্চ আদালতে এখনো বিচারাধীন এবং এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো রায় সর্বোচ্চ আদালত দেবেন। তাই বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করাটা আদালত অবমাননার শামিল হবে। সূত্র: জাগো নিউজ
[৩] শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যে কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মন্তব্য করতে পারেন। কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতের জন্য অবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেওয়া আমার পক্ষে অবশ্যই সম্ভব নয়।
[৪] সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেকেই দেশের বাইরে অপপ্রচার করেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ বা সংগঠন করতে দেওয়া হয় না। এ আন্দোলন কি প্রমাণ করে না যে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অধিকারের প্রশ্নে, বাকস্বাধীনতা চর্চার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার কারো ওপরই কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করে না? সূত্র: বাংলা নিউজ
[৫] মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, আমি এ বিষয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বলতে চাই অনেক সময় জনপ্রিয় অনেক বিষয়কে পুঁজি করে ষড়যন্ত্রকারীরা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়। সেই ফাঁদে যেন আমরা পা না দিই। প্রথমত এটি উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। আদালতের সিদ্ধান্তের পর নির্বাহী বিভাগের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই ফ্লেক্সিবিলিটি থাকে। সেটির জন্য অবশ্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
[৬] শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যে বিষয়টি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন তা সমাধান না হওয়ার আগেই হঠাৎ করে আমি রাস্তায় নেমে এলাম, রাস্তাঘাট সব ব্লক করে দিলাম। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রশ্ন থাকতে পারে এর পেছনে কোনো গভীর ষড়যন্ত্র আছে কি না। কারণ স্থিতিশীলতাকে বিনষ্ট করার জন্য অনেকেই অনেকভাবে অনেক জায়গায় উস্কানি দেয়।
[৭] রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স আয়োজিত ‘এসএসসি-এইচএসসি সমমান পরীক্ষায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এসব কথা বলেন।
[৮] ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর সভাপতিত্বে ও কল্যাণ সম্পাদক তানভীর আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য এ জেড এম শফিউদ্দিন শামীম। ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের স্বাগত বক্তব্যে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন এসবিএসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুল আজিম। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসি/কে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :