অপূর্ব চৌধুরী: [২] সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালসহ চার দফা দাবিতে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে অবস্থান নিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে বন্ধ হয়ে পড়ে গুলিস্তান থেকে সদরঘাটমুখী যান চলাচল। এদিন বিকাল তিনটার দিকে জবির কয়েক শত শিক্ষার্থী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের উদ্দেশ্যে রওনা হলে তাঁতীবাজার মোড়ে তাদের পুলিশ আটকে দেয়।
[৩] তাঁতীবাজারে শিক্ষার্থীরা ‘ নো কোটা, নো ডিসক্রিমিনেশন’, ‘সংবিধানের মূল কথা, সবার জন্য সমতা’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
[৪] জবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদ হাসান বলেন, কোটা প্রথার কারণে মেধাবীরা যোগ্য মূল্যায়ন পাচ্ছে না। এটি সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা। এটি আমরা মেনে নিব না। অবিলম্বে আমাদের দাবি মানতে হবে। কোটা বাতিলের আগ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
[৫] এর পূর্বে দুপুরে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়' ব্যানারে জবির কাঠাঁলতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে তাতীঁবাজার পর্যন্ত যায়।
[৬] জবি শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো- ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে,‘১৮-এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সব গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে, সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে এবং দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
আপনার মতামত লিখুন :