জাফর ইকবাল, খুলনা: [২] কোটা বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় দিনের মতো শুক্রবার ৫ জুলাই বিকাল ৪ টায় অবস্থান কর্মসূচি শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে খুলনা-জিরোপয়েন্ট মোড় অবরোধ করে রাখে শিক্ষার্থীরা। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।
[৩] প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
[৪] সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, তাঁরা মেধার ভিত্তিতে সরকারি চাকরি চান, কোনো কোটার ভিত্তিতে নয়। তাই কোটা প্রথার বিলুপ্তি না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এর আগে বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে জড়ো হন এবং সেখানে অবস্থান নেন।
[৫] এসময় বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীরা ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘সারাবাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আর না আর না’ সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
[৬] চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো:
১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।
২. পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)।
৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
[৭] উল্লেখ্য,সরকারি চাকরিতে বেতন কাঠামোর নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে (আগের প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির) মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত বহালে উচ্চ আদালতের রায়ের প্রতিবাদে এবং ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে লাগাতার কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার দেশের বেশ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এ ধারা অব্যাহত রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত নগরীর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :