অপূর্ব চৌধুরী: [২] সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার টানা চতুর্থদিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। পাশাপাশি দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি এই কর্মসূচি পালন করছে।
[৩] শিক্ষকদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে একই কর্মসূচি পালন করছেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের এই সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বন্ধ রয়েছে ক্লাস-পরীক্ষা ও দাপ্তরিক কার্যক্রম। বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা।
[৪] এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে আন্দোলনরত শিক্ষক নেতাদের সাথে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের মিটিং হওয়ার কথা থাকলেও সেটি অনুষ্ঠিত হয়নি।
[৫] ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া আমাদের নতুন সময়কে বলেন, অমরা প্রত্যয় স্কিম বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সুপার গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তন অর্থাৎ তিন দফা দাবি জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন সাড়া পাইনি। এই তিন দফা আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা সর্বাত্মক আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
[৬] তিনি আরও বলেন, পদ্মাসেতু সংক্রান্ত একটি বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে একটি জরুরি সাক্ষাৎ থাকায় ওবায়দুল কাদের সাহেবের সাথে বৃহস্পতিবার আমাদের মিটিংটি স্থগিত করা হয়েছে। তবে দ্রুতই তিনি আমাদের সাথে বসবেন। আমরা যখনই ডাক পাবো তখনই বসবো।
[৭] অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিব। প্রয়োজনে বেশি বেশি ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া হবে।
[৮] বৃহস্পতিবার ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যপরিষদের ব্যানারে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে তারা প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবি মানা হলেই কর্মবিরতি বন্ধ করে কাজে যোগদানের কথা ঘোষণা দেন। সম্পাদনা: এম খান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :