অপূর্ব চৌধুরী: [২] কেরাণীগঞ্জের পোড়াহাটি নামক জায়গার পেছনের দিক সংলগ্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের নির্মাণাধীন সীমানাপ্রাচীরের একাংশ বালুর বিপরীত পাশে প্রায় ১২০ ফুট হেলে পড়েছে।
[৩] সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরতদের দাবি বালুর চাপে এ ঘটনা ঘটেছে গত শনিবার। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রকৌশলীর অভিযোগ ওই অংশ তদারকির দায়িত্বে যিনি নিয়োজিত তার গাফিলতি রয়েছে। বালু বা মাটি ফেললে চাপ থাকবেই। তাই বলে দেয়াল হেলে পড়ার কথা নয়। দেয়ালে কেমন মানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে সেটি যাচাই করা উচিত।
[৪] জানা যায়, জবির নতুন ক্যাম্পাসের প্রায় ৫ হাজার মিটার সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংডম গ্রুপের সাথে চুক্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পের মেয়াদের দ্বিগুণ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো নানা জটিলতায় সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়নি। এর মধ্যেই হেলে পড়েছে ওই অংশটুকু।
[৫] এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশ তদারকির দায়িত্বে থাকা জবির সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মুহিতুর রহমান বলেন, বালু ওভারলোডে ফেলার কারণে ওই অংশটি হেলে পড়েছে। আমাদের চীফ স্যার (প্রধান প্রকৌশলী) সার্বিক বিষয়ে আরও ভালো বলতে পারবেন।
[৬] সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিংডম গ্রুপের ঠিকাদার আনোয়ার ব্যাপারী বলেন, কাজ চলমান রাখা অবস্থায় সেখানে বালু ফেলা হয়েছে। আমি আগেই চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছিলাম দেয়ালের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় সেখানে বালু ফেললে যদি কোন ক্ষতি হয় তার দায়ভার আমি নিব না। তা স্বত্তেও বালুর ঠিকাদার সেখানে বালু ফেলেছে।
[৭] তবে এ বিষয়ে কথা বলতে বালু ভরাটের ঠিকাদার ওমর ফারুক রুমির মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তার সাড়া পাওয়া যায় নি।
[৮] সার্বিক বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, এ ঘটনায় আমরা একশন নিয়েছি ইতোমধ্যেই। দুই ঠিকাদারকেই চিঠি দিয়েছি। তারা ওই অংশটুকু ঠিক করে দিবেন। পাশাপাশি তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :