অপূর্ব চৌধুরী: [২] মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে শিক্ষার্থীরা পদযাত্রা নিয়ে এসে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন। সেখানে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করার পর বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ মোড়ের রাস্তা ছেড়ে দেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অফিসের দিকে যান।
[৩] এর আগে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।পদযাত্রাটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে মাস্টার দা সূর্যসেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, নীলক্ষেত, ঢাকা কলেজ, সাইন্সল্যাবরেটরি মোড়, এলিফ্যান্ট রোড হয়ে শাহবাগে এসে থামে। সূত্র: বাংলা নিউজ
[৪] এ সময় শিক্ষার্থীরা ’১৮-এর হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’, ‘১৮-এর পরিপত্র, বহাল করতে হবে’, ‘সংবিধানের মূলকথা, সুযোগের সমতা’সহ নানা স্লোগান দেন। স্লোগানে কোটা না মেধা প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীরা সমস্বরে ‘মেধা, মেধা’ বলে স্লোগান দেন।
[৫] আন্দোলনরত ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, কোটার মাধ্যমে বৈষম্য এবারই প্রথম নয়। ১৯৮৭ সালে বলা হয়েছিল, কোটা ধীরে ধীরে উঠে যাবে। কিন্তু ১৯৯৭ সালে কোটায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের স্থানে নাতি-নাতনিকেও যুক্ত করা হয়েছে।
[৬] তিনি বলেন, কোটার মাধ্যমে বিভিন্ন সময় বৈষম্য আমরা দেখেছি। এমনও হয়েছে, বিসিএস পরীক্ষায় ২০০তম হয়েও কেউ ক্যাডার পাননি, অথচ ৫ হাজারতম হয়ে কোটায় অ্যাডমিন ক্যাডার হয়ে গেছেন। কোটাধারী না থাকলে আসনগুলো শূন্য থেকেছে তবুও সাধারণ শিক্ষার্থীরা পাননি। এ ধরনের বৈষম্য বাদ দিয়ে ২০১৮ সালের পরিপত্রটি পুনর্বহাল করতে হবে।
[৭] হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুরাদ মন্ডল বলেন, যারা বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে এদেশ স্বাধীন করল, সেই স্বাধীন দেশে তাদের সন্তানদের কাছে বৈষম্যের শিকার আমরা। এই বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেব না। ২০১৮ সালের পরিপত্রটি পুনর্বহাল করেই এই আন্দোলন থামবে।
[৮] এদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ ৫৬ শতাংশ কোটা পুনর্বহালে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
আপনার মতামত লিখুন :