অপূর্ব চৌধুরী: [২] পাশাপাশি দুপুর ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ব্যানারে ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এই কর্মসূচি পালন করছেন।
[৩] সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সকল ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।
[৪] শিক্ষকদের পাশাপাশি প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে সব ধরনের সেবা দেওয়া থেকে বিরত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
[৫] দ্বিতীয় দিন অবস্থান কর্মসূচি পালনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আইন প্রণয়ন করেছেন, আমরা তখন স্বাগত জানিয়েছি। কিন্তু আমরা বৈষম্যের প্রত্যয় স্কিমের বিরোধিতা করছি। গতকাল(সোমবার) থেকে প্রেস রিলিজ ও বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা বলছে পেনশন কর্তৃপক্ষ। এই সুযোগ-সুবিধা এত দিন কোথায় ছিল?
[৬] তিনি বলেন, তিন মাস আগে যদি বলা হতো চাকরির বয়সসীমা পঁয়ষট্টি রয়েছে, তাহলে তো এত আন্দোলন হতো না। এখন আন্দোলন স্তিমিত করার জন্য নানান সুযোগ-সুবিধার কথা বলছে।
[৭] অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্ষতির বিষয়ে বলেন, এটা সবার জন্য দুঃখজনক ঘটনা। শিক্ষার্থীদের ক্লাস না নিয়ে আমরা আন্দোলন করছি। আমরা আশা করব, আমাদের দাবি যখন পূরণ হয়ে যাবে। যে সেশনজট বা যে পরিমাণ ক্ষতি হবে, সেটা আমরা স্পেশাল ক্লাস ও স্পেশাল পরীক্ষা নিয়ে পূরণ করে দিতে পারব।
[৮] মঙ্গলবার সকালে ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্যপরিষদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সমাবেশ করেন। সমাবেশ থেকে কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবি মানা হলেই কর্মবিরতি বন্ধ করে কাজে যোগদানের কথা ঘোষণা দেন। সম্পাদনা: ইকবাল খান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :