ইকবাল খান: [২] ‘বৈষম্যমূলক’ পেনশন ব্যবস্থার আওতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দেওয়ার দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের পাশাপাশি অবস্থান কর্মসূচি করছেন শিক্ষকরা। সূত্র: ইউএনবি
[৩] রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের প্রধান ফটকে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ফেডারেশন।
[৪] জাগোনিউজ জানায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থাকায় আলাদা করে কোনো কর্মসূচি করছেন না আন্দোলরত শিক্ষকরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে তারা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
[৫] ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বলেন, ‘আজ যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় দিবস, এমনিতেও দিবসটি ক্লাস-পরীক্ষা হয় না। সেজন্য দাবি আদায়ের আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজকে (সোমবার) আমরা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
[৬] বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে এসব কর্মসূচি করছেন তারা। ফেডারেশনের মহাসচিব ও ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘সব বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের দাবি আদায়ের কর্মসূচি চলছে। যৌক্তিক দাবি নিয়ে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার আমাদের
আশ্বস্ত না করবে, ততক্ষণ কর্মসূচি চলবে।’
[৭] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমাদের সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখেছি। অনলাইন ক্লাস বা সান্ধ্যকালীন যে কোর্স, যেটা শুক্রবার ক্লাস হয়ে থাকে, সেটাও বন্ধ।’
[৮] খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া প্রত্যয় স্কিম আমরা মেনে নেবো না। এটা প্রত্যাহার করতে হবে।’
[৯] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা পুরোপুরি কর্মবিরতিতে যাব। এখন পর্যন্ত আমাদের দাবি মানা হয়নি। তাই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস, পরীক্ষাসহ সব দাপ্তরিক কাজ বন্ধ থাকবে।’
আপনার মতামত লিখুন :