অপূর্ব চৌধুরী: [২] দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবেন তারা।
[৩] এই কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সকল ধরনের ক্লাস বন্ধ থাকবে এবং ভর্তি পরীক্ষাসহ কোনও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।
[৪] বিভাগীয় চেয়ারম্যান অফিস, সেমিনার, কম্পিউটার ল্যাব ও গবেষণাগার বন্ধ থাকবে, অ্যাকাডেমিক কমিটি, সমন্বয় ও উন্নয়ন কমিটি এবং প্রশ্নপত্র সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে না। অনুষদের ডিনবৃন্দ ডিন অফিস, ভর্তি পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট কর্যক্রম বন্ধ রাখবেন।
[৫] সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে নবীন বরণ অনুষ্ঠানের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে না এবং কোনও সিলেকশন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে না। বিভিন্ন গবেষণাধর্মী সেন্টারের পরিচালকরা কোনও সেমিনার, কনফারেন্স ও ওয়ার্কশপের কর্মসূচি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকবেন। এছাড়া বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ অফিস ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি বন্ধ রাখা হবে।
[৬] বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষক সমিতি এই কর্মসূচি পালন করবে। রোববার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
[৭] একই দাবিতে রোববার পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন।
[৮] তবে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে একাডেমিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে বলে সেশন জটের শঙ্কা করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। কবে এই কর্মসূচি শেষ হবে সেটিও পুরোপুরি অনিশ্চিত।
[৯] বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহসচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমরা আমাদের দাবিগুলো নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের সাথে দুইবার বৈঠক করেছি। এরপর কর্মবিরতি সহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু কোন সাড়া পাইনি। আমরা দাবি আদায়ে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবো। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসি/এসসি/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :