অপূর্ব চৌধুরী: [২] সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিবাদে দুইমাস ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দাবি আদায়ে গত ৪ জুন সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
[৩] ওইদিন নতুন করে সরকারকে আলটিমেটাম দেন ফেডারেশনের নেতারা। শিক্ষক নেতাদের বেঁধে দেওয়া সেই সময়সীমা শেষ হবে আগামী সোমবার। এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে পরদিন ২৫ জুন থেকে টানা তিনদিন অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা।
[৪] এরপর ৩০ জুন পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন তারা। তারপরও দাবি না মানলে ১ জুলাই থেকে টানা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যাবেন শিক্ষকরা।
[৫] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা বলেন, আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিনদিন অর্ধদিবস এবং ৩০ জুন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করবো। এরপর আমরা আর সময় দিতে চাই না। ১ জুলাই থেকে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। দাবি না মানা পর্যন্ত সেটা চলবে। আমরা মনে করি আমাদের যৌক্তিক দাবির প্রতি শিক্ষার্থীসহ দেশের মানুষের সমর্থন রয়েছে। সূত্র: জাগো নিউজ
[৬] বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহসাচিব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, একটা শ্রেণি শিক্ষকদের সুবিধা কমানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। যদি শিক্ষকদের সুবিধা কমানো হয়, তাহলে মেধাবীরা এ পেশায় আর আসবে না। প্রত্যয় স্কিম যতদিন বাতিল হবে না ততদিন এ আন্দোলন চলবে। সূত্র: দ্য ডেইলি ক্যাম্পাস
[৭] প্রসঙ্গত, এ বছরের ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আগামী ১ জুলাই থেকে নিয়োগপ্রাপ্তরা এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত হবেন।
[৮] এর প্রতিবাদ জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এবং পরবর্তী কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করেন। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসি/কে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :