শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের আইনে কী আছে পুরুষদের ধর্ষণের বিষয়ে? ◈ কূটনীতিকের কানাডায় পালিয়ে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য, যা বললো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ আমরা যথেষ্ট ভাগ্যবান, কারণ আমাদের সমুদ্র আছে : প্রধান উপদেষ্টা ◈ ছয় মাস পর জাতীয় দলে ফিরলেন এমবাপ্পে ◈ ইউএনও’র সহযোগিতায় হুইল চেয়ার পেয়ে আবেগে বললো এবার আমি স্কুলে যেতে পারবো  ◈ যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৩৮৩ জন গ্রেফতার ◈ খুরুশকুলের জলবায়ু উদ্বাস্তু পুনর্বাসন প্রকল্প পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ বিশ্বে প্রথমবার স্বর্ণের দাম তিন হাজার ডলার প্রতি আউন্স ◈ নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক: ড. আবদুল মঈন খান ◈ বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ নাও হতে পারে ব্রাজিলের

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৬:১৯ বিকাল
আপডেট : ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৬:১৯ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রেমিট্যান্স প্রবাহ ফেরাতে ব্যাংকে প্রবাসীদের আস্থা বাড়াতে আহ্বান

আমিনুল ইসলাম: [২] অভিবাসন খাতের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্টস রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন ড. তাসনিম সিদ্দিকী বলেছেন, রেমিট্যান্স প্রবাহের স্রোত ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকগুলোর প্রতি অভিবাসীদের আস্থা বাড়াতে হবে। কেননা এটি সম্ভব না হলে বিদেশ থেকে টাকা আনার ক্ষেত্রগুলো পুরোপুরি হুন্ডির কাছে চলে যাবে। এতে করে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ বড় ধরনের হুমকির মুখে পড়বে।

[৩] বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘আন্তর্জাতিক শ্রম অভিবাসনের গতি-প্রকৃতি ২০২৩ অর্জন এবং চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা। এসসয় অন্যান্যের মধ্যে রামরুর পরিচালক ( প্রোগ্রাম) মেরিনা সুলতানা, প্রজেক্ট ম্যানেজার রাবেয়া নাছরীন এবং প্রজেক্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ ইনজামুল হক  উপস্থিত ছিলেন ।

[৪] তাসনিম সিদ্দিকী তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০২৩ সাল জাতীয় নির্বাচনপূর্ব বছর হওয়ায় অভিবাসনের ক্ষেত্রে এটি ছিল তাৎপর্যপূর্ণ বছর। বিএমইটি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে মোট ১৩ লাখ ৫ হাজার ৪৫৩ জন বাংলাদেশি কর্মী কাজের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করেছেন। যা গত বছরের তুলনায় ১৩ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালে ১১ লাখ ৩৫ হাজর ৮৭৩ জন বাংলাদেশি কর্মী বিদেশে গিয়েছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৪৮ বছরের মধ্যে এ বছর বাংলাদেশ থেকে সর্বোচ্চ অভিবাসন হয়েছে।

[৫] তাসনিম সিদ্দিকী আরও বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বাংলাদেশের অভিবাসন খাত হুমকির মধ্যে পড়েছিল। তবে ২০২২ সাল থেকে বাংলাদেশ থেকে শ্রম অভিবাসনের হার আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। করোনা মহামারির সময় যেসব অভিবাসী বিদেশে যেতে পারেননি, ২০২২ ও ২০২৩ সালে তারা অভিবাসন করেছেন। এছাড়াও কোভিড-১৯ এর পরে মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য অভিবাসী গ্রহণকারী দেশে বন্ধ হয়ে যাওয়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পুনরায় চালু হওয়ায় চাকরির বাজারও উন্মুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি সব ধরনের সৌদি প্রতিষ্ঠানে অভিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য নির্ধারিত কোটা ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করার ফলে অভিবাসন বেড়েছে। তবে শুধু বাংলাদেশ থেকে নয় প্রতিটি দক্ষিণ এশিয়ার দেশ থেকেই ২০২২ সাল থেকে অভিবাসন বেড়ে চলেছে।

[৬] ২০২৩ সালে মোট ৭৬ হাজার ৫১৯ জন নারী কর্মী কাজের জন্য বিদেশে গেছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালে বিদেশগামী কর্মীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫ হাজার ৪৬৬ জন। অর্থাৎ ২০২২ সালের তুলনায় নারী অভিবাসন প্রবাহ এই বছর ২৭.৪৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

[৭] তিনি আরো জানান,  এ বছরে মোট আন্তর্জাতিক অভিবাসনের ৫.৮৬ শতাংশ হলেন নারী কর্মী যা গতবছর ছিল ৯.৩ শতাংশ। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে আন্তর্জাতিক অভিবাসনের ক্ষেত্রেও নারী অভিবাসন ৩.৪৪ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়াও বিগত বছরের প্রবণতা অনুযায়ী ২০২৩ সালেও সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অভিবাসী সৌদি আরবে পাড়ি জমিয়েছেন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবে অভিবাসন করেছেন ৪ লাখ ৯৭ হাজার ৬৭৪ জন যা মোট অভিবাসনের ৩৮.১২ শতাংশ। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এআই/এসসি/এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়