আমিনুল ইসলাম: [২] শ্রম অধিকার বিনষ্টকারীদের দেশের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারির বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।
[৩] বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, আমরা অবশ্যই যেকোনো বৈশ্বিক উদ্যোগের প্রশংসা করি, যা আমাদের ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে এবং আমরা সেই দিকের যেকোনো পরিবর্তন মেনে নিতে প্রস্তুত। তবে আমরা বিশ্ব সম্প্রদায়কে এই সত্যটি বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করব যে, কেবল গতানুগতিক পপুলিস্ট দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে শিল্পকে বিচার করা উচিত হবে না। বাণিজ্যকে হুমকির মধ্যে ফেলে দেয়, এমন ব্যবস্থা নেওয়াও উচিত হবে না। কারণ এটি শেষ পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষের জীবিকাকে হুমকির মুখে ফেলে দেয়।
[৪] রোববার ‘সাসটেইনেবিলিটি এবং শ্রমিকদের কল্যাণ’ শীর্ষক এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান বিজিএমইএ সভাপতি। বিবৃতিতে তিনি সংগঠনের সব সদস্য গার্মেন্টস মালিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনাদের সবার কাছে শ্রমিক, কমিউনিটি এবং পরিবেশের প্রতি আরও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের নিজেদের সমৃদ্ধির জন্য আমাদের আরও বেশি করে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।
[৫] ফারুক হাসান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ইস্যুতে সংঘটিত শ্রম অসন্তোষ আবারও বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দুঃখজনক হলো-শ্রমিকদের প্রতি আমাদের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা গ্রহণ ও অঙ্গীকার থাকা সত্ত্বেও কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কল্যাণে আইন বহির্ভূত ইতিবাচক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও ধর্মঘট ও বিক্ষোভ এবং সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
[৬] গার্মেন্টস শিল্প মালিকদের উদ্দেশে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আপনারা অবশ্যই জানেন যে ইউরোপীয় কমিশন বাংলাদেশের শ্রমের মান নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। গত ১২-১৬ নভেম্বর সর্বশেষ পর্যবেক্ষণ দলটি বাংলাদেশ সফর করেছে। প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশ সরকার একটি শ্রম পথনকশা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং তা বাস্তবায়নের সব প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
[৭] ফারুক হাসান আরও বলেন, ২০১৩ সালের জুলাইয়ে গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি কমপ্যাক্ট ঘোষণা করা হয়েছিল, যা কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা উন্নত করার পাশাপাশি ভ্যালু চেইনে দায়িত্বশীল ব্যবসার অনুশীলনের জন্য ইউরোপীয় কমিশন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং বাংলাদেশকে একত্রিত করেছে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আপনার মতামত লিখুন :