বিশ্বজিৎ দত্ত: [২]আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)একটি প্রতিনিধিদল সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে প্রথম কিস্তির ব্যবহার ও দ্বিতীয় কিস্তির ছাড় নিয়ে আলোচনা শুরু করছে।আগামী ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত তারা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করবে।
[৩] মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে ও বৈদেশিক মূদ্রার সংকট কাটাতে বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছিল। আইএমএফ ৬টি কিস্তিতে বাংলাদেশেকে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করে।
[৪] আইএমএফ প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশকে ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ঋণ দেয়।এই ঋণটি দেয়া হয় প্রধানত সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংস্কার করতে। এসব সংস্কারের মধ্যে ছিল, রাজস্ব বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য ব্যবস্থাপনা, বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে পরিকল্পনা প্রনয়ণ। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংস্কার।
[৫] দ্বিতীয় কিস্তি ছাড় করার আগে এসব সংস্কারগুলোই গুরুত্বপাবে।
[৬] সংস্কারগুলো কতটুকু হয়েছে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, রাজস্ব খাতের সংস্কার হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে ভর্তুকি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। অন্যান্য বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের ভর্তুকি কমানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য ব্যাবস্থাপনা সমৃদ্ধ করা হয়েছে। রিজার্ভের হিসাব আইএমএফের মান অনুযায়ি হচ্ছে। আশা করছি দ্বিতীয় কিস্তিার ঋণ পেতে সমস্যা হবে না।
[৭]সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে মিশনটির বৈঠকে অর্থসচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার নেতৃত্ব দেবেন।
[৮] আইএমএফের ঋণের যেসব শর্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের পূরণ করার কথা, তার মধ্যে বেশির ভাগ শর্তই পূরণ হয়েছে। তবে যে পরিমাণ নিট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রাখার শর্ত দেওয়া হয়েছিল, সেই পরিমাণ রিজার্ভ রাখতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক।
[৯] কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন,আইএমএফের কাছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে এ জন্য বাড়তি সময় চাইবে। এর আগে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষেও সে জন্য সময় চাওয়া হয়েছে। এসব বিবেচনা করে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের অনুরোধ করা হয়েছে।
[১০]অন্যান্য শর্তের মধ্যে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ।আইএমএফের এশিয়া-প্যাসিফিক বিভাগের প্রধান রাহুল আনন্দের নেতৃত্বে সংস্থাটির এই পর্যালোচনা মিশন ১৯ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবে।
বিডি/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :