আমিনুল ইসলাম: [২] দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে দেশ। এতে নাকাল অবস্থায় দেশবাসী। সঙ্গে চলছে তীব্র ডলার সংকট। বাজেট ঘাটতি মেটাতে নতুন টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থনীতির অনেক সূচক দুর্বল হচ্ছে। শিগগিরই এসব সমস্যা কেটে যাওয়ার লক্ষণ নেই। বরং তা আরও গভীর ও দীর্ঘ হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে হিমশিম খাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাই উপায় না পেয়ে এবার অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, ব্যাংকারসহ খাত সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থাটি।
[৩] এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বৈঠকে নতুনভাবে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক।
[৪] বৈঠক শেষে মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিরসনে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ খুবই জরুরি। তাই আমরা অর্থনীতির বিভিন্ন সেক্টরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যেসব পরামর্শ আসবে সে অনুযায়ী আগামী মুদ্রানীতি প্রণয়ন করা হবে।
[৫] তিনি বলেন, বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও অন্যান্য দেশের তুলনায় মূল্যস্ফীতি আমরা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছি। আমরা যে এখনও সংকটের মধ্যে আছি তা সত্য। তবে সেই সংকট নিরসনের চেষ্টা করে যাচ্ছি।
[৬] গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বর্তমান মুদ্রানীতির যথাযথ বাস্তবায়ন এবং নতুন করে টাকা ছাপিয়ে সরকারকে ঋণ না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন মুখপাত্র। ভবিষ্যতে আরও অর্থনীতিবিদ, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, চেম্বার অব কমার্স এবং অর্থনৈতিক খাতের বিভিন্ন ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা পর্যায়ক্রমে চলতে থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
[৭] গত জুন ও জুলাই মাসে দেশে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমার পর আগস্ট মাসে তা আবার বেড়েছে। গত মাসে (আগস্ট) মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। এই সময় দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হঠাৎ অনেকটা বেড়ে গেছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতির হার উঠেছিল ১২ দশমিক ৫৪ শতাংশে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না