মো. আখতারুজ্জামান: দিন যত যাচ্ছে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অবস্থা তত খারাপ হচ্ছে। কিছু প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণে সাধারণ মানুষ আর এই খাতে তেমন বিনিয়োগ করছে না এই অবস্থানে রয়েছে এই খাত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুঁজিবাজার তালিকাভুক্ত ২৩টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫টি প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেনি। অর্থাৎ মাত্র ৮টি প্রতিষ্ঠান আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পেরেছে। আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা আটটি প্রতিষ্ঠানেরই মুনাফা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে ছয়টির ক্যাশ ফ্লো এখন ঋণাত্মক।
অপরদিকে যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেনি, সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর সবশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০টি লোকসানের মধ্যে রয়েছে। মুনাফায় থাকা তিনটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দুটির মুনাফা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে।
সবশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুনাফায় প্রবৃদ্ধি হওয়া একমাত্র প্রতিষ্ঠান প্রাইম ফাইন্যান্স। এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর এই নয় মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ২৯ পয়সা। আগের বছর শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয় ৩ পয়সা। মুনাফা বাড়লেও কোম্পানিটির সম্পদমূল্য কমেছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ১২ পয়সা, যা আগের বছরের ডিসেম্বর শেষে ছিল ১১ টাকা ৭৬ পয়সা।
চলতি বছরের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারা আট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ ফাইন্যান্স, ডিবিএইচ, আইডিএলসি, আইপিডিসি, ইসলামিক ফাইন্যান্স, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, ন্যাশনাল হাউজিং ফাইন্যান্স ও ইউনাইটেড ফাইন্যান্স।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে ডিবিএইচ। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে এই কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি মুনাফা হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা। মুনাফা কমলেও কোম্পানিটির সম্পদমূল্য কিছুটা বেড়েছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৩৪ পয়সা, যা গত বছরে ছিল ৪১ টাকা।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইডিএলসি ফাইন্যান্স শেয়ারপ্রতি মুনাফা করেছে ৮৩ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা। মুনাফা কমার পাশাপাশি কোম্পানিটির ক্যাশ ফ্লো ঋণাত্মক হয়ে পড়েছে। চলতি বছরের তিন মাসের ব্যবসায় শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৬ টাকা ৬৯ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ঋণাত্মক ২৪ টাকা ৬৪ পয়সা। তবে সম্পদমূল্য কিছুটা বেড়ছে। চলতি বছরের মার্চ শেষে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৩৯ পয়সা, যা গত বছর শেষে ছিল ৪৩ টাকা ৫৬ পয়সা। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
আপনার মতামত লিখুন :