এ্যানি আক্তার: বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক হেডওয়াইন্ডের উদ্বেগ গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তেলেরও ক্ষয়ক্ষতি বেড়েছে। বিশ্বের শীর্ষ রপ্তানিকারক সৌদি আরব তেলের উত্তোলন আরও কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে জ্বালানি পণ্যটির দাম বেড়ে যায় এবং সেখান থেকে কমতে শুরু করেছে। বুধবার ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচার ৪০ সেন্ট বা ০.৫% কমে ০৪৫৬ এগঞ ব্যারেল প্রতি ৭৫.৮৯ সেন্টে ছিল। ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ফিউচার ৩৫ সেন্ট কমেছে, ০.৫%, ব্যারেল প্রতি দাম কমেছে ৭১.৩৯ সেন্ট। সূত্র: রয়টার্স, ইউএস নিউজ
সোমবার উভয় বেঞ্চমার্কের দাম ১ ডলার বৃদ্ধি পেয়েছিল। এছাড়া গত মে মাসে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ব্যারেল করে তেল উত্তোলন করে সৌদি। এরপর সৌদি সিদ্ধান্ত নেয় আগামী জুলাই থেকে ১ মিলিয়ন উৎপাদন কমিয়ে ৯ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করা হবে।
ফিলিপ নোভার এক বিশ্লেষক ক্রেতাদের উদ্দেশে লেখা এক নোটে বলেন, তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী না রাখতে চেষ্টা চালাচ্ছে উৎপাদনকারী দেশগুলো এবং তাদের মিত্রদের জোট ওপেক প্লাস। তবু কাজ হচ্ছে না। অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। ফলে জ্বালানি পণ্যটির মূল্য কমছে।
মঙ্গলবার আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউটের পরিসংখ্যান বাজার সূত্র জানায়, ২ জুন সপ্তাহের শেষে মার্কিন পেট্রোল ইনভেন্টরিগুলি প্রায় ২.৪ মিলিয়ন ব্যারেল বেড়েছে এবং ডিস্টিলেটের ইনভেন্টরিগুলি প্রায় ৪.৫ মিলিয়ন ব্যারেল বেড়েছে।
বিশ্বের শীর্ষ তেল গ্রাহকদের দ্বারা জ্বালানী খরচ নিয়ে উদ্বেগ উত্থাপন করেছেন, বিশেষ কওে মেমোরিয়াল ডে উইকএন্ডে ভ্রমণের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মজুদ অপ্রত্যাশিত তৈরি করা হয়।
মঙ্গলবার ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ইআইএ) বলেছে, এই বছর মার্কিন তেলের উৎপাদন দ্রুত বাড়বে এবং চাহিদা বৃদ্ধি আগের প্রত্যাশার তুলনায় ঠান্ডা হবে। সম্পাদনা: রাশিদ
এএ/আরআই/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :