জেরিন আহমেদ: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) জানিয়েছে, বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার ক্ষেত্রে স্বীকৃতি ও সমাধান দুটোই অপ্রতুল। অভ্যন্তরীণ সম্পদ সঞ্চালন কিংবা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল মূল্যস্ফীতির চাপ, সেটিও রয়ে গেছে। পুরো অর্থবছর জুড়েই মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমূখী ছিল।
বৃহস্পতিবার বিকালে সিপিডির কার্যালয়ে এ প্রতিক্রিয়া জানান সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। সূত্র: দেশ রুপান্তর অনলাইন
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের বাজেট এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে যখন অর্থনীতির মূল সূচকগুলো ভেঙে গিয়েছে। অর্থনীতির স্থিতিশীলতা এখন আর নেই। এখানে নানামূখী চাপ রয়েছে। বহির্খাতের চাপ রয়েছে, রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স যেভাবে আসার কথা ছিল সেভাবে আসছে না।
বর্তমান অর্থনৈতিক সমস্যার প্রেক্ষিতে আমাদের যে সামষ্টিক অর্থনীতির সূচকগুলো ঘোষণা হলো- এগুলো বাস্তবতা বিবর্জিত। এগুলো অর্জন সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত- মূল্যস্ফীতির চাপ বা এর লাগাম টানার জন্য যে সমাধান দেয়া হয়েছে এগুলো সম্ভব না। মূল্যস্ফীতির হার ৬ শতাংশের নামিয়ে আনা সম্ভব হবে না। এটি কমানোর জন্য যে আর্থিক পদক্ষেপগুলো নেয়া দরকার তা বাজেটে নেই।
যেসব পদক্ষেপ নেয়ার কথা যেমন বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে কর থাকে সেখানে যদি কর রেয়াত দেয়া যায় তাহলে কিছুটা স্বস্তি পেতাম। কিন্তু এখানে কোনো উদ্যোগ নেই।
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। সেটি বাড়ানো হয়েছে। এটি ভালো। কিন্তু পাশাপাশি দেখছি কেউ যদি সরকারি সেবা পেতে চায় তাদেরকে কর রিটার্ন সাবমিট করতে হবে, আয় যেটাই হোক কর ২ হাজার টাকা আরোপ করা হয়েছে। এটি আমাদের কাছে মনে হয়েছে অবিবেচনা প্রসূত। এটি তুলে দেয়া উচিত।
সংস্কারের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাজেটে আমরা যেসব সংস্কার প্রস্তাব করেছিলাম, সেগুলোর কোনো প্রতিফলন নেই। এখানে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের শর্তের প্রতিফলন রয়েছে। বাজেট ডকুমেন্টে তিনবার আইএমএফের কথা বলা হয়েছে। তবে পরিষ্কারভাবে আইএমএফের কিছু বলা হয়নি। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
জেএ/টিএবি/এএ
আপনার মতামত লিখুন :