মনজুর এ আজিজ: আমদানি পর্যায়ে পেট্রোলিয়ামজাত ১৩টি পণ্যের উপর থেকে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ অগ্রিম কর (এটি) প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।
একইসঙ্গে ওইসব পণ্যের ট্যারিফ ভ্যালু বাতিল করে নির্দিষ্ট পরিমাণে ডিউটি আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। ডিজেল, লাইট ডিজেল, ৪ প্রকারের কেরোসিন, জেট ফুয়েলসহ এসব পণ্যের আন্তর্জাতিক দর বেড়ে গেলেও ডিউটির পরিমাণ অবিকৃত থাকবে। বিদ্যমান অবস্থায় দাম বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিউটিও বেড়ে যেতো। এতে আন্তর্জাতিক দর বেড়ে গেলে বাজারে দাম বেড়ে যেতো কয়েকগুণ।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে উত্থাপিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট এমন প্রস্তাবনা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, ডিজেল, লাইট ডিজেল, ৪ প্রকারের কেরোসিন, জেট ফুয়েল, ন্যাপথাসহ ১১টি পণ্যের উপর ১০ শতাংশ মুসক ও আগাম কর ছিল। এসব পণ্যের উপর থেকে ১০ শতাংশ মুসক প্রত্যাহার করে লিটার প্রতি ১৩.৭৫ টাকা ডিউটি নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে বিটুমিনে ৫ শতাংশ মুসক প্রত্যাহার করে ব্যারেল প্রতি ১১১৭ টাকা ও ফার্নেস ওয়েল ১০ শতাংশ মুসক প্রত্যাহার করে প্রতি টনে ৯১০৮ টাকা ডিউটির প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে বহুল ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের ক্ষেত্রে অতীতে দেখে গেছে, পণ্যটির এক সময় প্রতি টনের দাম ছিল ৩০০ ডলারের মতো। আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট, অগ্রিম কর (এটি) ৫ শতাংশ ও ১০ শতাংশ ডিউটি মিলে ৩৫ শতাংশ ডিউটির পরিমাণ হতো ১০৫ ডলারের মতো। অর্থাৎ ডিউটিসহ পণ্যটির দাম পড়তো ৪০০ ডলারের মতো। সেই ফার্নেস অয়েল টন প্রতি দাম ওঠে ৭০০ ডলার, তখনও ৩৫ শতাংশ ডিউটি আদায় করা হতো। এতে প্রতি টনে ২৪৫ ডলারের মতো ডিউটি দিতে হতো। যা আগের পণ্যের দামের কাছাকাছি। এতে পণ্যটির দাম আকাশচুম্বি হয়ে পড়ে। অনেকদিন ধরে মূল্য ভিক্তিক ভ্যাট কাঠামো ভেঙ্গে পণ্যের পরিমাণ ভিত্তিক ভ্যাট চালুর দাবী করে আসছিল বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। নতুন প্রস্তাবনা চালু হলে জ্বালানি তেলের বাজারে কিছুটা স্থিতিশীল হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাজাটে ডিউটি সমন্বয় করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট অনুমোদিত হলে জ্বালানি তেলের দাম সেভাবে সমন্বয় করা হবে। সম্পাদনা: শামসুল হক বসুনিয়া
এমএ/এসএইচবি/এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :