শিরোনাম
◈ সংস্কার প্রতিবেদনগুলো একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির পুনর্জাগরণের প্রতীক: প্রধান উপদেষ্টা ◈ মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ ব্যবহারে বিটিআরসির নতুন নির্দেশনা ◈ ‘ডেসটিনির এমডি রফিকুল আমীনের মুক্তিতে আর কোন বাঁধা থাকছে না’ ◈ বিতর্কিত কর্মকর্তাদের ধরা হবে, কিছু হয়েছে, ধরার পর আবার এক ওসি পালিয়েও গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ প্রধান উপদেষ্টার কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধান ◈ মারা গেছেন নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী ◈ সারজিসসহ ৪৫ জনের পাসপোর্ট জব্দের প্রচার, যা জানা গেল ◈ নির্বাচন নিয়ে ফখরুলের বক্তব্যের কড়া জবাব সারজিসের (ভিডিও) ◈ জয়বঞ্চিত ম্যানচেস্টার সিটি, হার এড়ালো লিভারপুল ◈ সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে প্রধান যে পাঁচটি সুপারিশ থাকছে

প্রকাশিত : ২৭ মে, ২০২৩, ০২:৩৩ দুপুর
আপডেট : ২৮ মে, ২০২৩, ০৪:৫৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এখন আইএমএফের শর্ত মানার সময় নয় মনে করে সিপিডি

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (

বিশ্বজিৎ দত্ত: অন্তত ২টি বিষয়ে আইএমএফের শর্ত মানার এখন সময় নয় বলে মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) অর্থনীতিবিদরা। শনিবার বাংলাদেশের অর্থনীতির তৃতীয়ধাপের পর্যালোচনায় এই মত ব্যক্ত করেন তারা।

সিপিডির পর্যালোচনায় বলা হয়, আইএমএফ যেসব সংস্কারের কথা বলছে তার বিরোধীতা তারা করছেন না। শুধুমাত্র কৃষি ও জ্বালানিতে আইএমএফের শর্ত সার্বিক অর্থনীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করে সমন্বয় করার কথা তারা বলছেন। এ বিষয়ে গবেষণা পরিচালক তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, আইএমএফ বিদ্যুৎ ও কৃষি ছাড়াও আরো অনেকগুলো বিষয়ে সংস্কারের কথা বলেছে, যেমন ব্যাংকখাতের সংস্কার, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি থেকে অবকাঠামো নির্মাণের মতো বিষয়গুলো বাদ দিতে বলেছে। এর বাইরেও রাজস্ব খাতের সংস্কারের কথা বলেছে সরকার এসব সংস্কারের মধ্যে না গিয়ে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি কৃষিতে সারের ভর্তুকি প্রত্যারের মতো বিষয়ে গিয়েছে। তাই আমরা আইএমএফের সংস্কারের বিষয়ে বিরোধিতানয় প্রকৃত সংস্কারের কথা বলেছি। 

সিপিডির পর্যালোচনায় কম রাজস্ব আয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট ও বৈদেশিক মূদ্রার রিজার্ভ কমে যাওয়া অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ বলে করা হচ্ছে। 

সিপিডি আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কমার কারণে দেশে লিটার প্রতি ১০ টাকা মূল্য কমানো পক্ষে মত দেয়। এ বিষয়ে ড. খন্দাকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, জ্বালানীতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের মানে এই নয় যে ভোক্তার কাঁধে বর্ধিত মূল্যের দায় তুলে দেয়া। ২০১৬-২২ সাল পর্যন্ত বিপিসি ৪৩ হাজার ৮০৪ কোটি টাকা লাভ করেছে। এখন ২ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। আগের লাভের অংশের সঙ্গে সমন্বয় করলে বিদ্যুতের বা জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই। ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে হবে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদকদের। তাদের ক্যাপাসিটি চার্জ বন্ধ করে দিতে হবে। বলতে হবে বিদ্যুৎ নাই পয়সাও নাই। সারে ভর্তুকি প্রত্যাহারের বিষয়ে বলা হয়, সরকার কৃষিতে ১০ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি প্রত্যাহারের যে ঘোষণা দিয়েছে তাতে আমাদের কৃষি সমস্যার মুখে পড়বে। ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, এই প্রত্যাহারে আমাদের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল কৃষিও হয়তো সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে। 

তিনি বরেন, বাংলাদেশে গত আগস্ট মাসে হঠাৎ অকটেন, পেট্রলসহ সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম ৩৩ থেকে ৫২ শতাংশ বাড়ানো হয়। বৃদ্ধির ওই হার ছিল গত ১১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এরপর গ্যাস-বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হয়। এ ছাড়া ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্যে বেশি দামে আমদানি করতে হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির কারণে অর্থনীতির প্রায় সব খাতেই প্রভাব পড়ে। বাড়তে থাকে পণ্যমূল্য এবং মূল্যস্ফীতির হার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পর আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি একলাফে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ হয়েছিল। এটি দেশের জন্য বেদনাদায়ক পর্যায়ে রয়েছে বলে মনে করেন।

রিজার্ভের বিষয়ে ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,৩০ বিলিয়ন ডলার এটি গত ৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম রিজার্ভ। প্রকৃত হিসাবে এই রিজার্ভও এখন আর নেই। অনেক পাওনা ডেফার্ড করা হচ্ছে। অনেক কর্পোরেট খাতেও বিশেষ করে টেলিকমিউনিকেশান খাতে ঋণ পরিশোধ ডেফার্ড করা হচ্ছে। এটা করা হচ্ছে সম্ভবত জুনের মধ্যে আইএমএফের শর্ত অনুযায়ি ২৪.৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ দেখানোর জন্য। কিন্তু এতে সমস্যা হচ্ছে মাঝারি শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ১৪.৭ শতাংশ, শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমেছে ১৭.৮ এমনকি গার্মেন্ট সংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানিও কমেছে ১৯.৬ শতাংশ। এই সময়ে ডলার সংকটের কারণে জ্বালানি আমদানিও করা যাচ্ছে না।

তিনি এই সমস্যা সমাধানে রেমিটেন্স বৃদ্ধির উপর জোর দেন। তিনি বলেন, রেমিটেন্সের প্রধান উৎস্য মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিটেন্স কমেছে। কিন্তু জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি এরজন্য ডলারের মূল্য বাজারের উপর ছেড়ে দেয়ার জন্য প্রস্তাব করেন (মার্কেট এলায়েন্ড)। একই সঙ্গে হোন্ডি বন্ধের জন্যও ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেমিটেন্স বৃদ্ধির বিষয়টিকে তিনি পাঁচার হয়ে যাওয়া অর্থ প্রণোদনার মাধ্যমে আবার দেশে ফিরে আসছে কিনা সে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন।

বিডি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়