শাহীন খন্দকার: সপ্তাহ ব্যবধানে ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে কমতে শুরু করেছে চালের দাম। মোহাম্মদপুর কৃষি বাজারের চালের ব্যাবসায়িরা জানিয়েছেন, আমন চালের সরবরাহ বাড়ায় বাজারে শেষ পর্যন্ত কমতে শুরু করেছে চালের দাম। প্রতি কেজীতে ১-২ টাকা কমে পাইজাম ও বিআর-২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৬০ টাকায়। তবে এখনও কমেনি মিনিকেট চালের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৭২ থেকে ৭৫ টাকায়।
প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির দাম ৪ টাকা বাড়িয়ে ১১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চিনির এই নতুন দাম আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা এবং প্যাকেট চিনি বাজার থেকে উধাও। এর আগে, ২০২২ সালের ১৭ নভেম্বর প্রতি কেজি খোলা চিনির মূল্য ১০২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির মূল্য ১০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
প্রতি কেজি দেশি মসুরের ডাল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা এবং ভারতীয় মসুর ডালের দাম লাগছে ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।
খোলা আটার দাম বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়। দুই কেজির প্যাকেট আটার দাম পড়ছে ১৪০-১৪৫ টাকা। এ ছাড়া বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। প্রতি ডজন ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, হাঁসের ডিম ২১০ থেকে ২২০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিমের দাম পড়ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা।
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, সোনালি মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ ও লেয়ার মুরগি ২১০-২৩০ দেশী মুরগী ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বাজারে ৬৮০-৭০০ টাকা কেজি গরুর মাংস এবং ৯০০ টাকা কেজি দরে খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া শীতকালীন সবজির সরবরাহ থাকলেও স্বস্তি নেই ক্রেতারা মধ্যে। তবে সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচা মরিচসহ সকল সবজিতে। করল্লার দাম ১২৫ টাকা। শুক্রবার ঢাকার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতি পিস বাঁধাকপি ও ফুলকপির দাম পড়ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পটল ৬০ টাকা ও পেঁপে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং করলা ৮০-১২০ আর টমেটো ৩০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কচুর লতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা এবং বরবটি ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ৩০-৫৫ টাকা কেজি দরে শিম এবং ৪০-৬০ টাকা কেজি দরে শসা বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি পিস চাল কুমড়া ৪০-৬০ টাকা এবং লাউ আকারভেদে ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি লেবু ১৫-২০ টাকা এবং কাঁচকলা ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি কেজি চিচিঙ্গা ৬০ও ঢেঁড়স ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । নতুন আলু ২০-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৮০-৯০ টাকা।
প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি আদার দাম পড়ছে ১২০ টাকা।
এসকে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :