শিরোনাম
◈ কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে জাতীয় গ্রিডের টাওয়ার নদীতে বিলীন ◈ ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হচ্ছে, কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন শেখ হাসিনা? ◈ (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার ◈ স্থিতিশীল ডলারের দর, ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ◈ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘গ্যারান্টিতে’ নগদ টাকার সংকট কাটছে যে ৫ ব্যাংকের ◈ হত্যাকাণ্ড নিয়ে অপপ্রচার চলছে, জাবিতে কোন কমিটিই নেই : ছাত্রদল ◈ গণপিটুনিতে মৃত্যু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ, বৈষম্যবিরোধীদের নিন্দা, ফেসবুকে নানা সমালোচনা ◈ ভারতের গোলা যাচ্ছে ইউক্রেনে, ক্ষুব্ধ রাশিয়া ◈ সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার গ্রেফতার ◈ মব জাস্টিস শুধু সহিংসতা ও অন্যায় সৃষ্টি করে: সমন্বয়ক হাসনাত

প্রকাশিত : ২০ মে, ২০২২, ০১:২১ রাত
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০১:৩৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মাথাপিছু বেড়েছে বিদেশি ঋণ

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক: বিদেশ থেকে নেওয়া ঋণের পরিমাণ বেড়েছে। যার ফলে মানুষের গত বছরের গড় মাথাপিছু ঋণও বেড়েছে। আর ঋণ পরিশোধে ডলারের ওপর চাপ বেড়ে যাচ্ছে। বাড়ছে ডলারের দামও। ডলারের দামের সঙ্গে টাকার মূল্য কমে যাচ্ছে। তবে ডলারের সংকট মেটাতে নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খোদ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডলার নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন জানা গেছে, গত এক বছরে দেশের মানুষের গড় মাথাপিছু ঋণ বেড়েছে ১০১ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার অঙ্কে প্রায় ৮ হাজার ৮৮০ টাকার বেশি। ২০২০ সালে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ছিল ৪৩৫ ডলারের বেশি। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৩৬ ডলারে। আর ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৮৫ শতাংশ থেকে কমে ৮০ শতাংশ হয়েছে। কিন্তু স্বল্পমেয়াদি ঋণ ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০ শতাংশ হয়েছে। 

এদিকে মোট ঋণের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ৭ হাজার ২৭১ কোটি ডলার। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ৭৬১ কোটি ডলার ও সরকারি খাতে ৬ হাজার ৫০৯ কোটি ডলার। মোট স্বল্পমেয়াদি ঋণ ১ হাজার ৮০৯ কোটি ডলার। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে ১ হাজার ৫৪৬ কোটি ডলার ও সরকারি খাতে ২৬২ কোটি ডলার। বৈদেশিক ঋণের মধ্যে বেসরকারি খাতে ঋণ ২০ দশমিক ২ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৫ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। আর সরকারি খাতের ঋণ ৮০ শতাংশ থেকে কমে ৭৫ শতাংশ হয়েছে। 

প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২০ সালে মোট বৈদেশিক ঋণ ছিল ৭ হাজার ২৯৪ কোটি ইউএস ডলার। গত বছর ডিসেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে ৯ হাজার ৭৯ কোটি ডলার। আর ২০২০ সালে বেসরকারি খাতের ঋণ ছিল ১ হাজার ৪৭৬ কোটি ডলার। তা গত বছর বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৩০৮ কোটি ডলার। সরকারি খাতের ঋণ ৫ হাজার ৮১৮ কোটি ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৭৭২ কোটি ডলার। 

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪ হাজার ১৯০ কোটি ইউএস ডলার। আর বিদেশ থেকে পাওয়া স্ফীতি (গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত) ৯ হাজার ৮০ কোটি ডলার। যা দেশের মজুতকৃত ডলারের দুই গুণের বেশি। ২০২০ সালে মোট ঋণের বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল প্রায় ৫৯ শতাংশ। করোনাকালে অর্থাৎ ২০২১ সালে তা কমে হয়েছে ৫১ শতাংশ। একই সময়ে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) বেড়েছে ১৫ শতাংশ। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঋণ নেওয়া তো সরকারের জন্য নতুন কিছু নয়। তবে সেটা বিনিয়োগ করতে হবে। আর দীর্ঘ মেয়াদি ঋণের তুলনায় স্বল্পমেয়াদি ঋণ বাড়াটা ঝুঁকিপূর্ণ। তবে সবদিক বিবেচনা করে বিদেশি ঋণ গ্রহণ করা হয়। কেননা স্বল্পমেয়াদি ঋণ দ্রুত পরিশোধ করতে হয়। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ তৈরি হয়। বর্তমানে ডলার সংকটের একটি কারণ হচ্ছে বিদেশি ঋণ পরিশোধ।’ 

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, ‘বেসরকারি খাতে ঋণ বৃদ্ধিও ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ বেসরকারি খাত কোনো কারণে খেলাপি হলে ঘুরেফিরে সেই ঋণের দায় সরকারের ওপরই চাপবে। অর্থাৎ দেশের স্বার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংককেই ওই ঋণ পরিশোধ করতে হয়। ইতিমধ্যে বেসরকারি খাতে কিছু ঋণ খেলাপি হয়ে পড়েছে। এ ঋণে পরিশোধে তাগাদা দেওয়া হচ্ছে।’ 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়