সালেহ্ বিপ্লব: [২] লোকালি ওন্ড সিগারেট ম্যানুফেকচারার মালিক সমিতি সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেছে, তামাক শিল্পের মাত্র ১০ শতাংশ বাজার রয়েছে দেশীয় মালিকদের হাতে। প্রায় ৯০ শতাংশ বাজার বহুজাতিক কোম্পানির দখলে।
[৩] সমিতি মনে করে, সরকারের পাশ করা প্রতিযোগিতা আইন ২০১২ বাস্তবায়ন হলে বাজারে সব কোম্পানীরই সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা যাবে, রাজস্ব ফাঁকি কমবে, সমতাভিত্তিক বাজার ব্যবস্থা থাকবে, রক্ষা পাবে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন তামাক শিল্প। কিন্তু এ আইন কার্যকর না করলে কৌশলে দেশীয় তামাক শিল্পকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া হবে।
[৪] নেতৃবৃন্দ বলেন, নীতি সহায়তার অভাবে রুগ্ন হচ্ছে দেশীয় তামাক চাষীরা, শতভাগ দেশীয় সিগারেট কোম্পানীর অস্তিত্বও বিলিন হওয়ার পথে। দেশীয় তামাক শিল্প বাঁচাতে ২০১৭-১৮ দুটি মূল্যস্তর সৃষ্টি এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দেশীয় কোম্পানির নিম্নস্ল্যাব সংরক্ষিত রেখে বহুজাতিকদের জন্য আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডকে মধ্যমমানে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো সরকার। কিন্তু অজানা কারণে এই দুটি সিদ্ধান্ত আলোর মুখ দেখেনি। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে এই দুটি সিদ্ধান্তের মধ্যে যে কোন একটি কার্যকর করার দাবি জানান তারা।
[৫] সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দ্রুততার সঙ্গে সরকারের নীতি সহায়তা না পেলে এই শিল্প ধ্বংস হয়ে পড়লে প্রচুর মানুষ কর্মসংস্থান হারাবে। বিদেশি কোম্পানীগুলোকে একচেটিয়া সুবিধা না দিয়ে দেশীয় শিল্পকে রুগ্ন হওয়া থেকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ প্রত্যাশা করছে মালিক সমিতি।
আপনার মতামত লিখুন :