নিজস্ব প্রতিবেদক, গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেগ্রিটির (জিএফআই) সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের আড়ালে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে গড়ে ৬৪ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। প্রতি বছর এসব টাকা পাচার হয়ে চলে যাচ্ছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ডসহ ১০টি দেশে। সময় টিভি
গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইনটেগ্রিটি বলছে ২০১৬ থেকে ২০২০, ৫ বছরে পাচারকারীরা ৩ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। যার মধ্যে শুধু ২০১৫ সালে ১ বছরেই বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যায় ৯৮ হাজার কোটি টাকা। পাচারকৃত টাকার পরিমাণ বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ায় পাচারকারী দেশ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে বাংলাদেশ। উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের সাড়ে ১৭ শতাংশই কোনো না কোনোভাবে পাচার হচ্ছে বলে দাবি আন্তর্জাতিক সংস্থাটির।
স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত দেশ থেকে পাচার হওয়া লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ২১ কোটি টাকা ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে।ওয়াশিংটন ভিত্তিক সংস্থাটি ২০১৫ সালের পর বাংলাদেশে ট্রেড মিস ইনভয়েসিংয়ের তথ্য দেয়নি। জিএফআই রিপোর্টে ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭ এবং ২০১৮ সালের জন্য বাংলাদেশের তথ্য ছিল না।
ডেইলি স্টার জিএফআই কমিউনিকেশনস কো-অর্ডিনেটর লরেন অ্যানিকিসকে ইমেল করে কোনো আপডেট ডেটা না থাকার কারণ সম্পর্কে জানতে, কিন্তু এই প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত কোনো উত্তর পায়নি। ২০২০ সালে জিএফআই-এর কমিউনিকেশনস কো-অর্ডিনেটর মৌরিন হেইডের দ্য ডেইলি স্টারকে ইমেল করা একটি উত্তর বলেছিল যে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কেন বাংলাদেশের জন্য জাতিসংঘের কমট্রেডে রিপোর্ট করা বন্ধ করা হয়েছে তা তারা জানেন না।আমদানি-রফতানিসহ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে কারসাজি আর হুন্ডির আড়ালে অর্থপাচার করছে পাচারকারী সিন্ডিকেট। এমনটাই বলছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ পাচার মনিটরিং সংস্থা- বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বিআইএফইউর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন।
বিদেশে টাকা পাচার রোধ, পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনতে আর পাচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে একযোগে কাজ করছে রাষ্ট্রের ৮টি সংস্থা। ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৪ বছরে সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকার তথ্য প্রকাশ করেছে সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আপনার মতামত লিখুন :