নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৬ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে চিনি
চিনি
মনজুর এ আজিজ: সরকার নির্ধারিত দামে নয়, তার চেয়ে কেজিতে ৬ টাকা বেশিতে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হচ্ছে চিনি। তবে সরকার বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে কম মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে পাম তেল। বিক্রেতারা বলছেন, নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে চিনি কিনতে হচ্ছে বলেই বিক্রি করতে হচ্ছে বেশি দামে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ২২ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, পাম সুপার খোলা প্রতি লিটারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৩ টাকা, প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি ৮৪ টাকা ও পরিশোধিত প্যাকেটজাত খোলা চিনির দাম ৮৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই মূল্য কার্যকর করার কথা উল্লেখ করা হলেও ৫ দিন পেরোলেও বাজারে চিনির দাম কার্যকর হয়নি।
শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি পরিশোধিত খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। আর পরিশোধিত প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকায়। অথচ সরকারিভাবে দাম বেঁধে দেয়া হয়েছে ৮৪ ও ৮৯ টাকা। সেই হিসাবে, খোলা ও প্যাকেটজাত চিনির কেজিতে ৬ টাকা বেশি গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমরা তো লস দিয়ে ব্যবসা করছি। ম্যাজিস্ট্রেট এসে আমাদের ধরে এবং জরিমানা করে। অথচ তারা গোড়ায় হাত দিতে পারে না। কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। কয়েকদিন তাই বেচাও বন্ধ রেখেছিলাম।
বিক্রেতারা বলছেন, ৫০ কেজির এক বস্তা চিনির দাম ৪ হাজার ৩৫০ টাকা। এক কেজি করে মেপে চিনি বিক্রি করতে ১০ গ্রাম করে ঘাটতি যায়। বস্তা প্রতি লেবার খরচ ১০ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতি কেজি চিনিতে খরচ পড়ছে ৮৭ টাকার বেশি। আমরা বেচি ৯০ টাকায়।
তিনি বলেন, প্যাকেটজাত চিনির এক বস্তায় থাকে ২০ কেজি। দাম নিচ্ছে ১ হাজার ৮৪০ টাকা। ৯২ টাকা কেনাই পড়ছে। সেখানে আমরা দুই, তিন টাকা লাভে বিক্রি করছি। প্রতি কেজির দাম নিচ্ছি ৯৫ টাকা।
সোনালী ট্রেডার্সের স্বত্ত্বাধিকারী ফ্রেশ চিনির ডিলার বলেন, প্রতি বস্তা ৪ হাজার ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছি। ৮৪ টাকায় চিনি বিক্রির নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওই দামে কিনতেও পাই না, বেচতেও পারি না।
কোম্পানির কাছে জানতে চান কি না- এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ নিয়ে তো কথাই বলা যায় না। কোম্পানি কোনো কথা বলতে চায় না।
অন্যদিকে, মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত দরের চেয়ে ১৬ থেকে ১৮ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে পাম তেল। প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ১১৫ থেকে ১১৭ টাকায়।
আপনার মতামত লিখুন :