শিরোনাম
◈ কবে দেশে ফিরবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান? (ভিডিও) ◈ যুবককে কুপিয়ে হত্যা, কেটে নিয়ে গেল হাত (ভিডিও) ◈ বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ: সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত ◈ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর হলেন তাজুল ইসলাম ◈ ‘দেহ ব্যবসা’র ভিডিও প্রতিবেদন ইস্যুতে সোহানা সাবার হুঁশিয়ারি ◈ বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ইতালির মোনফ্যালকনে ◈ নিউইয়র্কে ইউনূস-মোদি সাক্ষাতে ঢাকার অনুরোধ, এখনো চুপ দিল্লি ◈ হদিস মিলছে না পলকের দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী: ফখরুল ◈ ট্রাক থামিয়ে চাঁদাবাজি, যুবদল নেতাকে পুলিশে দিলো সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৬:১০ বিকাল
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৬:১০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

টাকা লেনদেনের সহজ মাধ্যম মোবাইল ব্যাংকিং

সঞ্চয় বিশ্বাস : বাংলাদেশে মোবাইলের মাধ্যমে আর্থিক সেবা শুরু হয় ২০১১ সালের মার্চে। ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক প্রথম সেবাটি চালু করে। তাদের এই সেবার নাম 'রকেট'। পরে ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে 'বিকাশ' এই সেবা চালু করে। ২০১৯ সালের মার্চে 'নগদ' নামে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করে সরকারের ডাক বিভাগ। সমকাল, আজকের পত্রিকা

'বাংলাদেশ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) রেগুলেশন্স-২০১৮' ২০১২ সালে শীর্ষক নীতিমালা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে বলা হয়েছে, মানি লন্ডারিং, সন্ত্রাসে অর্থায়ন ও হুন্ডি প্রতিরোধে প্রচলিত মানি লন্ডারিং আইন মেনে চলতে হবে।

সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম বিভাগ এমএফএসের লাইসেন্স দেবে। গ্রাহকের স্বার্থহানিকর কোনো কাজ বা গুরুতর অপরাধ করলে লাইসেন্স বাতিল করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে- বিকাশ, নগদ, রকেট, এমক্যাশসহ ১৫টি প্রতিষ্ঠান এখন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৯.৯০ লাখ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে।

প্রযুক্তি আর্থিক সেবাকে মানুষের হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। প্রতিনিয়ত এ সেবা লেনদেনকে করেছে সহজ ও দ্রুততর।

হাতের মোবাইল ফোনটি দিয়েই এখন টাকা পাঠানো, ব্যাংক থেকে টাকা তোলা, মোবাইল রিচার্জ, রেমিট্যান্স, বিল পরিশোধ, সরকারি ভাতা, বেতন-বৃত্তি প্রদানসহ নানান লেনদেনের কাজ সারা যাচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য বলছে, টাকা জমা-উত্তোলন, স্থানান্তর, বিল পরিশোধ মিলে গত জুলাইয়ে (সর্বশেষ) মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় লেনদেন হয়েছে ৮৯ হাজার কোটি টাকা, এর আগের মাসে ছিল ৯৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। এই খাতে নিবন্ধিত গ্রাহক ১১ কোটি ৮ লাখ ৯৩ হাজার ৩৩০। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৪১ লাখ ৭৬ হাজার এবং নারী ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৬৩ হাজার ২৪৮ জন। মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দেশে ১১ লাখ ৭৭ হাজার ১৫২।

একজন গ্রাহক তাঁর ব্যক্তিগত মোবাইল ব্যাংকিং হিসাবের কোনো একটি নম্বর থেকে দিনে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা উত্তোলন ও ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে পাঠাতে পারেন। মাসে সর্বোচ্চ লেনদেন করতে পারেন দুই লাখ টাকা। তবে এজেন্ট নম্বরের ক্ষেত্রে লেনদেনের কোনো ধরাবাঁধা নিয়ম নেই।

পরে মোবাইল ব্যাংকিং চ্যানেলকে নানা সময় অপরাধী চক্র ব্যবহার করার ঘটনা জানাজানির পর সবাইকে সতর্ক করতে ছয়টি নির্দেশনা জারি করে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এতে বলা হয়, এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর নিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করে এজেন্টদের নাম-ঠিকানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে; মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের সিসি ক্যামেরা স্থাপন; স্থায়ী কোনো দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না থাকলে এজেন্ট নিয়োগ না করা; ক্যাশআউটের ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেন্টার থেকে যারা ক্যাশআউট করবে (টাকা ওঠাবে) তাদের ছবি, নাম-ঠিকানা, জাতীয় পরিচয়পত্র, ফোন নম্বর সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় তথ্য রেজিস্টারে সংরক্ষণের ব্যবস্থা বাধ্যতামূলকভাবে করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সহজ ও বিস্তৃত নেটওয়ার্ক দেশব্যাপী বিপ্লব সৃষ্টি করেছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেন করতে ঝামেলা না থাকায় সেবাটি ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্পাদনা: আল আমিন 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়