শিরোনাম
◈ ফের সংঘর্ষে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পোড়ার তথ্যটি সঠিক নয়: অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ◈ পারভেজ হত্যায় আলোচিত সেই দুই ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার ◈ সাগর-রুনি হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে: হাইকোর্টকে রাষ্ট্রপক্ষ ◈ মানুষের জীবন বিপন্ন করে দাবি আদায়ের শিক্ষা কে দিয়েছে ডাক্তারদের: সেনাবাহিনীর মেজর মেজবাহ উদ্দিন (ভিডিও) ◈ বিচার বিভাগসহ চার ইস্যুতে বিএনপি-জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দফা বৈঠক ◈ বিরলে কৃষক ভবেশের মৃত্যুর ৪ দিন পর থানায় হত্যা মামলা ◈ ফ্লোরিডায় উড্ডয়নের আগেই প্লেনে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ২৮২ যাত্রী (ভিডিও) ◈ পরীক্ষাকেন্দ্রে হট্টগোল, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি! ◈ বিশ্বজুড়ে বিরাট সাইবার অপরাধের আশঙ্কা: জাতিসংঘ

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:১৬ রাত
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৯ মাসে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ৬৫ হাজার কোটি টাকা

জুলাই-অগাস্টের রাজনৈতিক ডামাডোল সামলে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি এলেও ঘাটতিতে লাগাম টানতে পারছে না জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

অর্থনীতিতে গতি ফেরানোর নানা পদক্ষেপের পরও চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে রাজস্ব ঘাটতি ছাড়িয়ে গেছে ৬৫ হাজার কোটি টাকা।

ফেব্রুয়ারি শেষে এ ঘাটতি ছিল ৫৮ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে, এক মাসে ঘাটতি বেড়েছে প্রায় সাত হাজার কোটি টাকা।

সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার নিরিখে রাজস্ব আদায় পিছিয়ে আছে ২০ দশমিক ৩৮ শতাংশ।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আহরণ বেড়েছে পৌনে ৩ শতাংশ।

সোমবার প্রকাশিত এনবিআরের হালনাগাদ পরিসংখ্যান বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ২২ হাজার ১৫২ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ লাখ ৫৬ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। সে হিসাবে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৬৬৬ কোটি টাকা।

পুরো অর্থবছরের জন্য এনবিআরকে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের মাঝপথে এসে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৫০০ কোটি করা হয়।

গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আদায় হয় ২ লাখ ৪৯ হাজার ৫৯২ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় ৬ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা (২ দশমিক ৭৬ শতাংশ) বেশি আদায় হয়েছে।

রাজস্বের ঘাটতি কাটাতে গত জানুয়ারিতে শতাধিক পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বাড়ায় অন্তর্বর্তী সরকার। পরে ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের দাবির মুখে বহু পণ্যের ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বদলায় এনবিআর।

২০২৪ সালের জুনে বাজেট ঘোষণার পর মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট, রিজার্ভের পতনসহ অর্থনীতিতে নানা সংকট শুরু হয়। বাজেট পাসের দুই সপ্তাহের মধ্যে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন। এর ধারাবাহিকতায় অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে।

আন্দোলনের ধাক্কা ও সরকার পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার প্রেক্ষাপটে আমদানি, রপ্তানি ও উৎপাদনসহ অর্থনীতির সব সূচক ধীর হয়ে আসে। এমন পরিস্থিতিতে রাজস্ব আহরণ কমার ধারাও অব্যাহত থাকে।

তবে ডিসেম্বরে এসে একক মাসের হিসাবে প্রবৃদ্ধির ধারায় ফেরে রাজস্ব আহরণ। পরের মাস জানুয়ারিতেও তা বজায় ছিল। তবে ফেব্রুয়ারিতে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখলেও এ হার ধীর হয়ে পড়ে। আগের অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে বাড়ে দশমিক ৯০ শতাংশ।

একক মাস হিসেবে মার্চে ‘মোটামুটি’ প্রবৃদ্ধি আসে রাজস্ব আদায়ে। এ মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় আদায় বেড়েছে ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

এনবিআরের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চে আমদানি পর্যায়ে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৭৪ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা; যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৭৩ হাজার ৯৭৭ কোটি টাকা। সে হিসাবে আহরণ বেড়েছে দশমিক ৩৮ শতাংশ কম।

স্থানীয় পর্যায়ে মূসক ও আবগারি শুল্ক খাতে চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৯৫ হাজার ৩১১ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৯৩ হাজার ৩৬১ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় বেড়েছে ২ দশমিক ০৯ শতাংশ।

অপরদিকে আয়কর ও ভ্রমণ খাতে নয় মাসে আদায় হয়েছে ৮৬ হাজার ৯২০ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৮২ হাজার ২৫৩ কোটি টাকা। এ খাতে আদায় বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৭ শতাংশ।

চলতি অর্থবছরের জানুয়ারিতে গত বছরের এ সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে; ডিসেম্বরে যা ছিল ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

ফেব্রুয়ারিতে রাজস্ব আহরণ আগের দুই মাসের চেয়ে ধাক্কা খেয়ে বাড়ে প্রায় পৌনে ২ শতাংশ।

সরকার পতনের পর পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীটির সদস্যরা নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ায় ব্যবসার পরিবেশ ছিল নাজুক।

ব্যবসায়ীরা শুল্কায়ন করেও মাল খালাস ও গুদামে বা উৎপাদনস্থলে আনার সাহস করছিলেন না। এর প্রতিফলন দেখা গেছে অগাস্ট মাসের রাজস্ব আদায়ে। এ মাসে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৪ দশমিক ৩০ শতাংশ রাজস্ব আদায় কম হয়েছে।

রাজস্ব আদায়ে এর পরে সবচেয়ে খারাপ সময় গেছে নভেম্বরে। এ সময়ে দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের শঙ্কা না দেখা গেলেও রাজস্ব আদায়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। উৎস: বিডিনিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়