ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন। পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে সম্প্রতি একটি ধারণা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর৷
এর আগে গত মাসে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি বছরের মধ্যেই পাচার হওয়া অর্থের কিছু অংশ ফেরত আনা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন৷ বিশ্লেষকেরা বলছেন, পাচারের অর্থ ফেরত পাওয়ার কাজটি কঠিন, তবে অসম্ভব নয়৷ এক্ষেত্রে তারা সরকারকে সতর্কতা অবলম্বনেরও পরামর্শ দিয়েছেন৷
অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নরের বক্তব্য
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ১১ এপ্রিল বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ে অর্থ পাচার বিষয়ক এক সভায় পাচার করা অর্থ ফেরত আনা নিয়ে তারা কী করছেন, তা জানান৷ গভর্নর বলেন, ‘‘ছয় মাসের মধ্যে বিদেশে পাচার করা সম্পদের বড় একটি অংশ জব্দ করা হবে৷ এজন্য আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথা বলছি৷ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থাকে চিঠি দিচ্ছি৷ বিদেশি আইনি সংস্থা বা ফার্মের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে, এ কাজে তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে৷ এরই মধ্যে আমরা বেশ কিছু সম্পদ যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছি৷ তাদের কাছ থেকে যথেষ্ট সহযোগিতাও পাচ্ছি৷ এই প্রক্রিয়ায় ছয় মাসের মধ্যে বিদেশে থাকা সম্পদ জব্দ করা হবে৷''
একই অনুষ্ঠানে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের ১৫-১৬ বছরে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণের একটা ধারণাও দেন৷ তিনি বলেন, ‘‘সব মিলিয়ে আমার ধারণা আড়াই থেকে তিন লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে৷ চট্টগ্রামের একটি বড় গ্রুপ অন্ততপক্ষে সোয়া লাখ কোটি টাকা থেকে দেড় লাখ কোটি টাকা নিয়েছে ব্যাংকিং খাত থেকে৷ আরও কিছু গ্রুপ আছে৷ ২০, ৪০, ৫০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে৷ আমার ধারণা বড় গ্রুপগুলোর আড়াই-তিন লাখ কোটি টাকা হতে পারে৷ ছোটগুলো বাদে৷ সেগুলোও আদায় করতে হবে অর্থঋণ আদালতসহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়ায়৷ বেক্সিমকোর পাচার হওয়ার অর্থ ৫০ হাজার কোটি টাকার মতো৷ এগুলো শুধু বড় গ্রুপ৷ ছোটগুলোকে আপাতত দেখছি না৷''
তবে গত ২ ডিসেম্বর অর্থনীতি নিয়ে যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হয়েছে তাতে বলা হয়েছে ১৫ বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৮ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে৷
গত ১১ মার্চ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘চলতি বছরের মধ্যেই পাচার হওয়া অর্থের কিছু অংশ ফেরত আনা সম্ভব হবে৷ এব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে৷''
তিনি আরো জানান, ‘‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করব৷ এই জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি সই করব৷''
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং অর্থ উপদেষ্টার বক্তব্যের আপডেট জানাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সঙ্গে মঙ্গলবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি৷ তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন৷
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র এবং নির্বাহী পরিচালক আরিফ হাসান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘এব্যাপারে আমরা পুরোপুরি অন্ধকারে আছি৷ গভর্নর মহোদয়ের কাছে নিশ্চয়ই কোনো তথ্য আছে, তিনি সেভাবে বলেছেন৷ আর টাস্কফোর্সের কাছে কোনো তথ্য থাকতে পারে৷''
প্রসঙ্গত, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার যে টাস্কফোর্স গঠন করেছে তার অন্যতম সদস্য হলো বিএফআইইউ৷
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সদ্য সাবেক নির্বাহী পরিচালক এ কে এম এহসান গত ডিসেম্বরে ডিডাব্লিউকে বলেন, ‘‘৫ আগস্টের পর কোনো টাকা ফেরত আনা সম্ভব হয়নি৷ এটা একটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া৷ তবে রিজার্ভ হ্যাক করে যে টাকা নেয়া হয়েছিল তার ৪০ ভাগের মতো এপর্যন্ত ফেরত এসেছে৷ আমরা তো আগেই এটা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করেছি৷ রিজার্ভের অর্থ বিভিন্ন সময়ে ফেরত এসেছে৷''
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো পরিস্থিতি একই আছে, পাচারের কোনো অর্থ ফেরত আসেনি৷
আর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে এখন পর্যন্ত ১২টি দেশে ৭১টি চিঠি ও মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্স রিকোয়েস্ট (এমএলএআর) পাঠিয়েছে৷ এরমধ্যে ২৭টি এমএলএআর এর জবাব পেয়েছে সংস্থাটি৷ তবে সেই জবাব তথ্য সংক্রান্ত বলে জানা গেছে৷ পাচারের অর্থ ফেরত দেয়ার কোনো বিষয় সেইসব জবাবে নেই৷
পাচারের অর্থ ফেরত আনা যাবে?
পাচারের অর্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স চুক্তি (এমএলএ) আছে৷ বাংলাদেশ অর্থপাচার-বিরোধী আন্তর্জাতিক জোট এগমন্ট গ্রুপের সদস্য৷ এই দুইটির মাধ্যমে বাংলাদেশ মানিলন্ডারিং-এর তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে৷ এর বাইরে এখন বাংলাদেশ নতুন একটি আইন করতে যাচ্ছে, যার মাধ্যমে অর্থ পাচার মামলায় বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবে৷ এছাড়া বিদেশে আইনজীবী বা লফার্ম নিয়োগ এবং বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তিরও চেষ্টা করছে৷
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর আবুল কাসেম বলেন, ‘‘পাচারের অর্থ ফেরত আনতে হলে প্রমাণ করতে হবে যে, বাংলাদেশ থেকে তিনি ওই টাকা অবৈধভাবে নিয়ে গেছেন৷ তাই বাংলাদেশের আদালতে সব আইনগত প্রক্রিয়া শেষ হলে পাচারের বিষয়টি প্রমাণিত হতে হবে৷ ধরেন, ওই টাকা ইউকে-তে গেছে৷ তখন একটা লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে৷ তারা দেখবে বাংলাদেশের আদালতের রায় যথার্থ কী না৷ তখন তারা বিবেচনা করে দেখতে পারে৷ তবে একেক দেশের একেক নিয়ম৷ কোনো দেশ আবার বাংলাদেশের আদালতের রায়ের ডকুমেন্ট পাওয়ার পর তার ভিত্তিতে ওই দেশে মামলা করবে৷ তখন নির্ভর করবে সেই দেশের আদালত কী রায় দেয় তার ওপর৷''
আবুল কাসেম বলেন, ‘‘এই প্রক্রিয়ায় অনেক সময় লাগে৷ এখন অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর কিসের ভিত্তিতে বলছেন তারাই জানেন৷ তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকতে পারে৷ এখন বিদেশে ল-ফার্ম নিয়োগ করবেন৷ সেই অর্থ কে দেবে৷ নিশ্চয়ই বাংলাদেশ ব্যাংক বা অর্থ মন্ত্রণালয়৷ সেই খরচ করে আমরা পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে পারব কী না তার কি নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে? আমার কথা হলো কাজটি কঠিন৷ কিন্তু অসম্ভব নয়৷''
বাংলাদেশ এপর্যন্ত মাত্র একবার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে পেরেছে৷ সিঙ্গাপুরের আদালতের নির্দেশে ২০১২ ও ২০১৩ সালে ফেয়ারহিল নামের একটি পরামর্শক সংস্থার নামে ব্যাংকে গচ্ছিত থাকা প্রায় এক মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়৷ যুক্তরাষ্ট্র ও সিঙ্গাপুরের আদালতের নির্দেশনার পরও মামলাটি নিষ্পত্তি হতে সময় লেগেছে প্রায় তিন বছর৷ আর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির টাকা ধীরে ধীরে ফেরত আনা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করে৷ তবে রিজার্ভ চুরি ও অর্থপাচার এক নয়৷
বিশ্লেষকরা বলছেন বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ বিদেশে বিনিয়োগ হয়েছে৷ সেখানে বাড়ি ও স্থাপনাসহ সম্পদ কেনা হয়েছে৷ এখন সেটা যদি বিদেশে বৈধ উপায়ে করা হয়ে থাকে তাহলে ওই অর্থের বৈধতা বিদেশে তারা নিয়েছেন৷ আবার কেউ কেউ বিদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে সেখানে বিনিয়োগকারী হয়েছেন৷ কোনো কোনো দেশ আছে বিনিয়োগ বাড়ানোর স্বার্থে ওই পাচার হওয়া অর্থের বৈধতা দিয়েছে বা কোনো প্রশ্ন করেনি৷ ফলে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা একটা জটিল প্রক্রিয়া৷ তবে সরকার যদি আন্তরিকভাবে চায় তাহলে সম্ভব৷
বিষয়টি অসম্ভব না হলেও কঠিন
যমুনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নুরুল আমিন বলেন, ‘‘টাকা এক দেশ থেকে আরেক দেশে ল্যান্ড করলে তখন দুই দেশের আইনের বিষয় হয়ে যায়৷ এখন বাংলাদেশ থেকে যে অর্থ অন্য দেশে পাচার হয়েছে সেটা ওই দেশের আইন কীভাবে দেখে সেটা গুরুত্বপূর্ণ৷ মিউচুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিট্যান্স-এর সুবিধা পেতে তো আমাদের অন্য দেশের আইন কানুন দেখতে হবে৷ এগমন্ট গ্রুপ প্রধানত পারস্পরিক তথ্য সহায়তা করে, তাও আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে৷''
‘‘এখন পাচার করা অর্থ কেউ আরেক দেশের আইন মেনে বিনিয়োগ করেছেন৷ তিনি সেখানে ট্যাক্স দিচ্ছেন৷ সেটা বের করে আনা কঠিন৷ এর জন্য ওই দেশেও আইনি লড়াই চালানো যায়৷ আমরা জানা মতে বাংলাদেশ একবারই সিঙ্গাপুর থেকে পাচারের অর্থ ফেরত আনতে পেরেছে৷ আর আফ্রিকার কিছু দেশও পেরেছে,'' বলেন তিনি৷
গত সরকারের আমলে পিকে হালাদার যে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার করেছেন সেটা প্রকাশ্য৷ তিনি ভারতে গ্রেপ্তারও হয়েছেন৷ গ্রেপ্তারের আগে তার বাংলাদেশে ফিরে এসে আদালতের মাধ্যমে ওই পাচার হওয়া অর্থ কোথায় কীভাবে আছে সে ব্যাপারে তথ্য দেয়ারও কথা ছিলো৷ তবে শেষ পর্যন্ত তিনি আসেননি৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, তিনি ফিরে এসে তথ্য দিলে তার সঙ্গে জড়িত আরো অনেকের নাম প্রকাশ হতো, সেই কারণেই হয়তো তাকে শেষ পর্যন্ত আসতে দেয়া হয়নি বা তিনি আসেননি৷
সাবেক ব্যাংক এবং বর্তমানে ব্যাংক ও অর্থ বিষয়ক আইনজীবী অ্যাডভোকেট দয়াল দত্ত বলেন, ‘‘বাংলাদেশ সরকার আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে৷ কিন্তু দুই দেশেরই আইনগত দিক আছে৷ পাচারের অর্থ আইনগতভাবে ট্র্যাক করার বিষয় আছে৷ ফলে এটা ফিরিয়ে আনা অত সহজ নয়৷''
‘‘চূড়ান্ত আইনগত প্রক্রিয়া বাংলাদেশে শেষ হলেই যে অর্থ ফেরত আনা যাবে তা নয়৷ অর্থ যে দেশে গেছে, সেখানে কীভাবে আছে সেটা জানানোর পর তাদের দেশের আইন মতে সেটা তারা দেখবে৷ তারপর দুই দেশের মধ্যে আন্তরিকতা থাকলে বিবেচনায় আসবে,'' বলেন তিনি৷
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘সরকার পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সঠিক পথেই আছে৷ অর্থ উপদেষ্টা, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর নানা উদ্যোগের কথা বলছেন৷ আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিতভাবে সক্রিয় ছিল না৷ এখন তো সেগুলো হচ্ছে৷ সরকার যে নতুন আইনের উদ্যোগ নিয়েছে সেটি ভালো উদ্যোগ৷ আমাদের প্রচলিত আইনে ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এক্সপার্ট নিয়োগের সুযোগ নই৷ নতুন আইনে সেই সুযোগ তৈরি করা হচ্ছে৷''
‘‘তবে ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এক্সপার্ট নিয়োগের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, আমরা যেন আবার ফাঁদে পড়ে না যাই৷ কারণ যেসব ইন্টারন্যাশনাল লিগ্যাল এক্সপার্ট বা প্রতিষ্ঠান পাচারে সহায়তা করে, পাচারের অর্থ বৈধ করতে সহায়তা করে তারাই আবার পাচারের অর্থ উদ্ধারে কাজ করে৷ তাদের এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা৷ এই কারণেই আমাদের আইনি প্রক্রিয়া এবং ইন্টান্যাশনাল লিগ্যাল এক্সপার্ট নিয়োগে সাবধান এবং সতর্ক থাকতে হবে,'' বলে মনে করেন তিনি৷
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘‘আমাদের অর্থ যেসব দেশে পাচার হয়ে গেছে তা ওইসব দেশের সম্পদ হয়ে গেছে৷ আগে যে লিগ্যাল ফার্ম বা ব্যক্তির কথা বললাম তারা এমনভাবে কাজ করে যে, আমাদের এখান থেকে অবৈধভাবে যাওয়া অর্থ তারা ওই দেশে বৈধ করে দেয়৷ ফলে আমাদের সেইভাবে লিগ্যাল এক্সপার্ট নিয়োগ করতে হবে, যারা এটা নিয়ে কাজ করতে দক্ষ ও সক্ষম৷ নয়তো ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা থেকেই যায়৷''
‘‘পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা অসম্ভব নয়৷ কঠিন হতে পারে৷ তারপরও অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নর যেভাবে বলছেন এই বছরের মধ্যে বড় একটি অংশ জব্দ করা যায় তাহলে তা হবে খুব বড় একটি সাফল্য, বড় দৃষ্টান্ত৷ যদিও এরকম দৃষ্টান্ত খুবই কম,'' বলে মন্তব্য করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক৷