শিরোনাম
◈ দুপুরের মধ্যে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস ◈ ১০ জেলায় ঈদের প্রথম দিনে সড়কে ঝরলো ২১ প্রাণ ◈ তালিকা হালনাগাদ: তরুণ ভোটাররা এবারও বিশেষ হিসাব-নিকাশে  ◈ নেতাকর্মীদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ◈ ট্রাম্পকে গাজায় হামলা বন্ধে আহ্বান মুক্তিপ্রাপ্ত ইসরায়েলি জিম্মির ◈ সৌদি আরবে আত্মহত্যার আগে স্ত্রীসহ ২ জনকে কুপিয়ে হত্যা করলো বাংলাদেশি ◈ তিন এজেন্ডা নিয়ে এগোচ্ছি: নাহিদ ইসলাম ◈ নেপালের মাওবাদী কমান্ডার এখন রাজতন্ত্রের পক্ষে হিন্দুত্ববাদী আন্দোলনের নেতা ◈ ঈদ উপলক্ষে সেনা ক্যাম্প পরিদর্শনে সেনাপ্রধান ◈ যে কারণে ঈদের জামাতে ইমামের পাশে নামাজ আদায় করেন আসিফ মাহমুদ! (ভিডিও)

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২৫, ০৩:৪১ রাত
আপডেট : ০১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৬ বছর ধরে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলেও চীনে বাড়েনি বাংলাদেশের পণ্য রফতানি

বণিক বার্তার প্রতিবেদন।। চীনে রফতানিতে ২০২০ সালে বাংলাদেশী ৯৭ শতাংশ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যেত। ২০২২ সালের আগে তা বাড়িয়ে ৯৮ শতাংশ করা হয়। এর মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাতসহ ৩৮৩টি নতুন পণ্য ছিল। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশসহ এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর শতভাগ পণ্যে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেয় চীন। সে সুবিধা ২০২৮ সাল পর্যন্ত বেড়েছে। চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠকের পর এ ঘোষণা আসে। তবে ছয় বছর ধরে শুল্ক সুবিধা পাওয়ার পরও চীনে তেমন বাড়েনি বাংলাদেশের পণ্য রফতানি। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশটিতে পণ্য রফতানির অর্থমূল্য ছিল ৭১ কোটি ৫৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যা মোট রফতানির ১ দশমিক ৬ শতাংশ।

চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্যসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের ম্যানুফ্যাকচারিং হাব হিসেবে চীনকে গণ্য করা হয়। অনেক পণ্য উৎপাদনে দেশটির স্বনির্ভরতা রয়েছে। অনেক পণ্য আবার আমদানি করে। তার জন্য অনেক দেশকে দেয়া হয় শুল্ক সুবিধা। বাংলাদেশ চীনে সে সুবিধা পেয়ে আসছিল ২০২০ সালেরও আগে থেকে, যা বেড়েছে ক্রমান্বয়ে। এর পরও দেশটিতে বাংলাদেশের রফতানি আশানুরূপ গতি বাড়েনি, বরং কমেছে। চীনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও বাংলাদেশী পণ্য রফতানির অর্থমূল্য ছিল ৮৩ কোটি ডলার, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসে দাঁড়ায় সাড়ে ৭১ কোটি ডলারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন থেকে প্রতি বছর এখন অনেক বিনিয়োগ ভিয়েতনামে যাচ্ছে। ওই বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদিত পণ্য চীনে রফতানি হচ্ছে। আমরাও যদি চীনের বিনিয়োগ বাংলাদেশে নিয়ে আসতে পারি, তারপর উৎপাদিত পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রতিযোগিতা সক্ষমভাবে দেশটিতে প্রবেশ করাতে পারি সেটিই হবে বাংলাদেশের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে চীনা অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের বিষয়ে কাজ চলছিল। যদিও সেগুলোর গতি এখন শ্লথ। এ পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করে চীনের কৌশলগত বিনিয়োগ সরিয়ে আনতে পারলে বাংলাদেশের প্রকৃত লাভবান হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। এটাই বাংলাদেশের কৌশল হওয়া উচিত। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশে চীনসহ বিদেশী বিনিয়োগের প্রবাহ এখন পর্যন্ত খুবই অপ্রতুল।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর যদি কোনো দেশ ঐচ্ছিকভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রবেশাধিকার দিতে চায়, তারা সেটা দিতে পারে। যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, গ্র্যাজুয়েশনের পর তিন বছর সুবিধা পাবে বাংলাদেশ। যুক্তরাজ্য বলছে, তিন বছরের জন্য এ সুবিধা দেয়া হবে। সে ধারাবাহিকতায় চীন বলছে, ২০২৮ বা দুই বছরের জন্য শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় বাংলাদেশ থাকবে। প্রথমে ৬৩ শতাংশ পণ্যের ক্ষেত্রে চীনে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেত বাংলাদেশ। তারপর দিত ৯৭ শতাংশ পণ্যের জন্য। ২০২২ সাল থেকে প্রায় সব পণ্যের জন্যই শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। এ সুবিধাই এখন অব্যাহত থাকবে ২০২৮ সাল পর্যন্ত।’

চীন ভালো সুযোগ দিলেও তা বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারেনি উল্লেখ করে মোস্তাফিজুর রহমান আরো বলেন, ‘চীনে অনেকদিন ধরে অনেক পণ্যের জন্যই বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। কিন্তু পণ্য সরবরাহ সক্ষমতার ঘাটতির কারণে সুবিধাটি ব্যবহার করতে পারেনি। চীন ২ হাজার ৮০০ বিলিয়ন ডলার অর্থমূল্যের আমদানি করে। আমরা দেশটিতে রফতানি করি মাত্র ৭০ কোটি ডলারের কিছু বেশি। চীন সুযোগ দিয়েছে ভালো। আমাদের দেখতে হবে কীভাবে নিজস্ব বিনিয়োগ এবং বিদেশী বিনিয়োগ, বিশেষ করে চীনের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পারি, যাতে দেশটির বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা নিতে পারি। কারণ আমরা সুবিধা ব্যবহার করতে পারিনি। ফলে সুবিধা ব্যবহার করতে না পারলে তা যদি দুই বছর থেকে বাড়িয়ে আরো ৫০ বছরের জন্যও দেয়া হয়, তাতে আমাদের কোনো লাভ হবে না।’

আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের উৎপাদন সক্ষমতা বাংলাদেশে সরে আসার বিষয়টি কৌশলগত। বাংলাদেশ যে দেশগুলোয় বাণিজ্য সুবিধা পায়, তা কাজে লাগাতে চীন তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাংলাদেশে সরিয়ে আনতে পারে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনা পণ্য প্রবেশে ট্যারিফ প্রটেকশন থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যদি ট্যারিফ প্রটেকশন না থাকে, তাহলে সে পণ্যটি বাংলাদেশে উৎপাদন করে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রফতানি করে সে সুবিধা নিতে পারে চীন। সেই কৌশলগত ক্ষেত্র বিবেচিত হলে বাংলাদেশের কর্মসংস্থান বেড়ে জিডিপিতে অবদান রাখতে পারবেন রফতানিকারকরা। কিন্তু অনেক দিন ধরে চেষ্টা করেও চীনকে আকৃষ্ট করার মতো বিনিয়োগ অবকাঠামো বাংলাদেশে গড়ে তোলা যায়নি। চীনের কারখানা এ দেশে এলে যে পরিমাণ কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন কর্মী প্রয়োজন হবে, তাও এখনে নেই। ফলে চীন বিনিয়োগ সরিয়ে আনলেও সেগুলো হবে কেবলই শ্রমঘন। আর ভ্যালু অ্যাড করা উৎপাদন ক্ষেত্র যাবে অন্যান্য দেশে, যা এরই মধ্যে সরেও গেছে। নতুন ঘোষণা থেকে বাংলাদেশ বড় কিছু পাবে তা মনে করার কারণ এখন পর্যন্ত নেই।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক আবু হেনা রেজা হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘এটা (শুল্ক সুবিধা) আগে থেকেই বাংলাদেশ পেয়ে আসছিল। স্বল্পোন্নত দেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ আফ্রিকার ৩০টি দেশ এ সুবিধার আওতায় আছে। এ ঘোষণার নতুন বিষয়টি হলো ২০২৮ সাল। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন করবে। এরপর একটা ট্রানজিশন পিরিয়ড থাকে। চীন ২০২৮ সাল পর্যন্ত সব এলডিসিকে এ সুবিধার আওতায় নিয়ে এসেছে। এরই মধ্যে কিছু প্রেফার্ড কান্ট্রিকে ২০২৮ সাল পর্যন্ত সুবিধা দিয়ে রেখেছে। ২০২৬ সাল-পরবর্তী এক বা দুই বছরে বাংলাদেশ কী ধরনের সুবিধা এ ঘোষণার আওতায় নিতে পারবে তা দেখতে হবে। কেননা যে পণ্যগুলো চীনের শুল্কমুক্ত নীতির আওতায় রয়েছে, সেগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা বাংলাদেশের নেই।’

আবু হেনা রেজা হাসান আরো বলেন, ‘চীন সেসব পণ্যই আমদানি করবে যেগুলোর কস্ট অ্যাডভানটেজ নেই। এ ধরনের পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিল্পের কাঁচামাল, যা বাংলাদেশ উৎপাদন করে না। এ ধরনের পণ্য উৎপাদন করছে ভিয়েতনাম। বাংলাদেশের সক্ষমতা মূলত তৈরি পোশাকে। আর এ পণ্য উৎপাদনে চীনের স্বনির্ভরতা রয়েছে। তার পরও বাংলাদেশের তৈরি পোশাক দেশটিতে যায়। সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রফতানিযোগ্য পণ্য যেহেতু বাংলাদেশের নেই, সেহেতু চীন শুল্কমুক্ত সুবিধা দিলেও আমরা সুযোগটা নিতে পারব না, অন্তত এখন পর্যন্ত পারিনি। তবে বাংলাদেশ যদি চীনের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ হতে পারত, তাহলে অনেক বড় সম্ভাবনা ধরা দিত। যেমন থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ এশিয়ার কিছু দেশ এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে পেরেছে।’

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও চীনের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের নতুন ঘোষণা নিয়ে খুব আশাবাদী হতে পারছেন না। সর্বশেষ ঘোষণায় কী ধরনের বাণিজ্য উদারতা বাংলাদেশকে দিচ্ছে চীন তা আরো যাচাই করা প্রয়োজন। বেইজিংয়ে বাংলাদেশের কমার্শিয়াল উইং ২০২২ সালে এক পর্যালোচনা তৈরি করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। তাতে বলা হয়, চীনের বিশাল বাজার দখল করা বাংলাদেশের জন্য প্রায় অসম্ভব।

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি উল্লেখ করে কমার্শিয়াল উইংয়ের ওই পর্যবেক্ষণে আরো বলা হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশ বিশ্ববাজার থেকে ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। এর মধ্যে চীন থেকে এসেছে ১১ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। বিপরীতে একই সময়ে চীন সারা বিশ্ব থেকে ২ হাজার ৪০০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে, যেখানে বাংলাদেশ পাঠাতে পেরেছিল কেবল ৬০০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য। অর্থাৎ বাংলাদেশ মোট আমদানির ২০ শতাংশের বেশি পণ্য চীন থেকে আনলেও দেশটিতে রফতানি করে ২ শতাংশেরও কম। দুই দেশের মধ্যে এমন বিশাল বাণিজ্য ঘাটতির মধ্যে চীন ২০২০ সালের জুলাই থেকে ট্যারিফ লাইনের আওতায় ৯৭ শতাংশ বাংলাদেশী পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা চালু করে। এরপর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যকে এর অন্তর্ভুক্ত করে সেটি বাড়িয়ে ৯৮ শতাংশ করে দেশটির সরকার। এ সুবিধা পাওয়ার পরও প্রচলিত পণ্য দিয়ে চীনের বাজারে রফতানি বাড়ানো খুব কঠিন হবে বলে জানায় বাংলাদেশের কমার্শিয়াল উইং।

চীনের বিশাল বাজারটি প্রতিযোগিতামূলক। স্থানীয় উৎপাদন-সরবরাহকারীদের সঙ্গে ভালো মানের বিদেশী কোম্পানিই কেবল সে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে। তবে কনজিউমার বিহেভিয়ার বা ভোক্তাদের আচরণগত ধরন অনুসারে বলা যায়, উচ্চহারে মূল্য সংযোজিত পণ্যের চাহিদা দেশটিতে ক্রমেই বাড়তে থাকবে। বর্তমানে চীনের বাজারে রফতানি বৃদ্ধির জন্য মানসম্মত পণ্য ও অনলাইনে সেগুলোর ব্যাপক প্রচারণা থাকতে হবে। দেশটির প্রধান যে ২০ আমদানি পণ্য, তার একটিও বাংলাদেশ থেকে নেয়া হয় না। তাই প্রচলিত পণ্য দিয়ে চীনের বাজারে কোনোভাবেই প্রতিযোগিতা করা সম্ভব নয় বলে কমার্শিয়াল উইংয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

বাংলাদেশ থেকে চীনের বাজারে রফতানীকৃত প্রধান ১০টি পণ্যের পর্যালোচনামূলক চিত্রও তুলে ধরে কমার্শিয়াল উইং। তাতে দেখা যায়, পাঁচটি প্রচলিত পণ্যের তিনটিরই রফতানি কমেছে। সেগুলো হলো ওভেন পোশাক; নিটওয়্যার এবং মৎস্য, ক্রাস্টেসিয়ান ও মোলাসজাতীয় পণ্য। অন্যদিকে রফতানি বেড়েছে পাঁচটি অপ্রচলিত পণ্যের। এর মধ্যে রয়েছে আয়রন-স্টিল, পরচুলা ও মানুষের মাথার চুল, জুতা ও চামড়াজাত পণ্য, কপার অ্যান্ড আর্টিকেলস, অ্যালুমিনিয়াম অ্যান্ড আর্টিকেলস পণ্য।

বাংলাদেশের পাটপণ্যেরও চীনে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি অবশ্যই প্রয়োজন, যা চীনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারের আকার অনেক বড়। এত বড় বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের সুযোগ ও বাস্তবতা দুটিই আছে। চীনের দেয়া সহায়ক শুল্কনীতি কাজে লাগিয়ে বাণিজ্য বহুগুণ বাড়ানোও সম্ভব। আমরা যদি শুধু পাটপণ্যকে বিবেচনায় নিই, এ পণ্যের সর্ববৃহৎ বাজার হতে পারে চীন। এখনো তুরস্কের পর বাংলাদেশের পাটপণ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার চীন।’ 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়