শিরোনাম
◈ ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় স্কুল ব্যাংকিং চালু করতে হবে ◈ দুটি কারণ পাওয়া গেছে এসএসসিতে পরীক্ষার্থী কমে যাওয়ার ◈ যে কারনে কর্মবিরতির ঘোষণা মেট্রোরেল কর্মীদের ◈ রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয় নিয়ে কেন লুকোচুরি? ◈ ভারত সফরে মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি, আলোচনা হবে বাংলাদেশ নিয়েও ◈ ফুল কিনতে যাওয়া তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, দুই ছাত্রদল নেতাসহ আটক ৪ ◈ জাতিসংঘ মহাসচিবের সফরে এক ঢিলে তিন পাখি মেরেছে অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ঈদের পর নির্বাচন ও সংস্কার দাবিতে ফের উত্তপ্ত হবে রাজনীতির মাঠ  ◈ অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের আরেকটি দল আসছে, নেতৃত্বে শিবিরের সাবেকরা ◈ দুই-একজন অপকর্ম করছে, তাদেরকে কোনভাবেই দলে রাখতে পারব না : ইশরাক

প্রকাশিত : ১৬ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০৫ বিকাল
আপডেট : ১৭ মার্চ, ২০২৫, ০৪:০৪ সকাল

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

গরম বাড়ায় তরমুজ ও ডাবের দাম আকাশচুম্বী

মনজুর এ আজিজ : রমজানে এমনিতেই তরমুজ ও ডাবের চাহিদা সবসময়ই বেশি থাকে। তবে এবার রমজানে হঠাৎ করে গরম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে আসা আগাম তরমুজ ও ডাবের দাম যেন আকাশ ছুঁয়েছে। গত কয়েকদিনের গরমে তরমুজ ও ডাবের দাম বেড়ে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। প্রচণ্ড গরমে চাহিদা বাড়ার সুযোগে বিক্রেতারা বাড়তি দাম চাইছেন। এতে অনেকেকেই কালি হাতে ফিরে যেতে দেখা গেছে। রাজধানীর মিরপুর, বারিধারা ও বাড্ডা, রামপুরা, বনশ্রী এলাকার বিভিন্ন ফলের দোকানি এবং তরমুজ-ডাবের ভাসমান দোকানি ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ চিত্র পাওয়া গেছে। 

দেখা গেছে, বাজারে আগের তুলনায় তরমুজের সরবরাহ বেড়েছে। মাঝারি থেকে বড় আকারের তরমুজের পরিমাণ বেশি। সরবরাহ বাড়লেও দাম কমেনি। বড় আকৃতির তরমুজ আগের মতোই ৭০ টাকা কেজি দাম হাঁকছেন বিক্রেতারা। দামাদামি করলে ৬০-৬৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। আর ছোট আকৃতির তরমুজ ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ডাবের বাজার এর চেয়েও চড়া। দেখা গেছে, দোকানগুলোতে তিন ধরনের ডাব বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ছোট আকৃতির ডাব পিস ৮০-৯০ টাকা, মাঝারি আকৃতির ডাব ১০০-১৩০ টাকা এবং বড় আকৃতির ডাব ১৫০-১৭০ টাকা দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কেউ কেউ আবার ২০০ টাকা করেও দাম হাঁকাচ্ছেন। অথচ রোজার আগে মাঝারি আকৃতির ডাব ১০০ টাকা এবং বড় আকৃতির ডাব ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। ক্রেতাদের অভিযোগ, গরমের কারণে চাহিদা বাড়ায় বিক্রেতারা বেশি লাভের আশায় দাম বাড়িয়েছেন, যা অনৈতিক।

রহিম নামে এক ক্রেতা বলেন, রমজান মাসে তরমুজ ও ডাবের চাহিদা বাড়া স্বাভাবিক। এই সুযোগে বিক্রেতারা যেন দাম বেশি বাড়াতে না পারে সে ব্যাপারে প্রশাসনের তদারকি দরকার। তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়ছে না। তাই বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম হাঁকছেন।

শরীফ আহমেদ নামে আরেক ক্রেতা বলেন, কিছু বিক্রেতা অতিরিক্ত মুনাফা করতে চান। তারা যে দাম চাইছেন সেটি অনেক বেশি, একচেটিয়াও। যে যার মতো করে দাম নিচ্ছেন। ভাসমান দোকানগুলোর চেয়ে ফলের স্থায়ী দোকানগুলোতে দাম বেশি।

অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান মাসের শুরু থেকে পাইকারিভাবেই দাম অনেক বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে।

জামাল নামের এক বিক্রেতা বলেন, তরমুজের এখনো পুরোপুরি সিজন শুরু হয়নি। সেজন্য দাম একটু বেশি। আর ডাবের চাহিদা এমনিতেই গরমের সিজনে বেশি থাকে। তরমুজের দাম সামনে কমার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু ডাবের দাম কমার সম্ভাবনা নেই। 

সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, রমজান আসলেই সবকিছুর দাম বাড়িয়ে আমাদের ভোগান্তিতে ফেলা হয়। আমাদের মতো স্বল্প আয়ের মানুষের পক্ষে ইফতার কিনে খাওয়া সম্ভব নয়। এরপর আবার সবকিছুর দামি বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে সরকারের প্রশাসনের নজরদারী বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়