শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০৩:৫৯ দুপুর
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

ব্যাংক না দিলেও খোলাবাজারে চড়া দামে নতুন টাকা

মনজুর এ আজিজ : মুসলমানদের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে দেশের বিপণিকেন্দ্রগুলো। নতুন জামার সঙ্গে নতুন টাকায় ঈদ সালামি বাড়তি আনন্দ দেয় শিশুদের। তাই তো শিশুদের ঈদের আনন্দ দ্বিগুন করতে নতুন টাকায় ঈদ সালামি দেয়ার চেষ্টা থাকে বাড়ির মুরুব্বীদের। তবে ব্যাংক থেকে নতুন নোট সরবরাহ বন্ধ থাকায় সে চেষ্টায় এবার ভাটা পড়ছে। তবে খোলাবাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে নতুন টাকা।

সরেজমিনে রাজধানীর গুলিস্তান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশে ও দিলকুশা এলাকায় বাজার ঘুরে নতুন টাকার এমন চিত্র দেখা গেছে। এদিন অনেক ক্রেতা নতুন টাকা কিনতে এসেও বাড়তি দাম দেখে ফিরে যেতে দেখা গেছে। 
এবার নতুন নোটের বাড়তি চাহিদা ও দাম বাড়ার প্রধান কারণ হচ্ছে নতুন নোট বিনিময় স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংককে দেয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠি। সে চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মধ্যে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যে নতুন নোট গচ্ছিত রয়েছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণ করার জন্য বলা হলো। চিঠিতে পুনঃপ্রচলনযোগ্য নোট দ্বারা সব নগদ লেনদেন কার্যক্রম সম্পাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নতুন নোটের সবচেয়ে বেশি চাহিদা ১০ ও ২০ টাকার নোটে। তাই এসব নোটে বাড়তি দামও হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা। ১০ টাকার এক ব্যান্ডেল টাকায় ১০০ নোটে ১ হাজার টাকা হলেও দাম হাকাচ্ছেন ১৬০০ থেকে ১৬৫০ টাকা পর্যন্ত। একই অবস্থা ২০ টাকা নোটের ক্ষেত্রেও। ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা বাড়িয়ে এক বান্ডেল নোটে বিক্রেতারা দাম হাকাচ্ছেন ২৬০০ থেকে ২৬৫০ টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া ২ টাকার ১০ বান্ডিল (২ হাজার টাকা) নতুন নোটের দাম চাওয়া হচ্ছে ৩ হাজার ৫০০ টাকা। ৫ টাকার এক বান্ডিল (৫০০ টাকার মূল্যমান) বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। ৫০ টাকার এক বান্ডিল (৫ হাজার টাকা) নোটের দাম বাড়িয়ে রাখা হচ্ছে ৫৫০০-৫৬০০ টাকা।

বাড়তি দামের কারণ জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর ঈদে নতুন টাকা ছাড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক, কিন্তু এবছর বন্ধ। আমাদের যে ব্যাংক কর্মকর্তারা টাকা সরবরাহ করেন তারাও চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে পারছেন না। আবার ব্যাংক থেকে নতুন টাকা না দেয়ায় আমাদের কাছে ক্রেতারা বেশি আসছেন। তাই স্বাভাবিক কারণেই দাম বেড়েছে নতুন নোটের।

নতুন টাকা কিনতে আসা রাসেল বলেন, আসলে ঈদ একটা আনন্দের বিষয়। তাই প্রতিবছর ঈদ সালামিটা আমি নতুন টাকায় দেয়ার চেষ্টা করি। ১০০-১৫০ টাকা বাড়তি দিয়েই নতুন টাকার বান্ডিল কিনতে পারলেও এবার অনেক বেশি দাম চাচ্ছে। ১০ টাকা নোটের এক বান্ডিল টাকায় ৫০০ টাকা বেশি দিয়েও পাচ্ছি না। বিক্রেতা ৬০০ টাকা চায়।
বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শরিফ নামের এক কর্মকর্তা জানান, নতুন টাকা কিনতে আসছিলাম। ঈদ এগিয়ে আসলে দাম বেড়ে যাবে তাই নতুন টাকা নিতে একটু আগেভাগেই এসেছি। তবে তাতে খুব একটা উপকার হয়নি। ব্যাংক থেকে নতুন নোট না ছাড়ার অজুহাতে খোলাবাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে কিছুতো নিতেই হবে। এখন দেখি কোথায় একটু কম পাই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়