২০২৪-২৫ করবর্ষে অনলাইনে (etaxnbr.gov.bd) জমা দেওয়া আয়কর রিটার্ন সংশোধন করতে পারবেন করদাতারা। অনলাইনে এজন্য নতুন অপশন যুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অপরদিকে সুপারশপে ভ্যাট আরোপিত পণ্যের ওপর বাড়তি ভ্যাট দিতে হবে না বলে স্পষ্টীকরণ জারি করেছে সংস্থাটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওয়েবসাইট ব্যবহার করে সহজে ঘরে বসে আয়কর রিটার্ন দাখিলে করদাতাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ পরিলক্ষিত হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৪ লাখ ৩২ হাজার করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন এবং ১৮ লাখ ৭৫ হাজার করদাতা ই-রিটার্নের জন্য রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেছেন।
রিটার্ন দাখিলের পর কোনো ত্রুটি পরিলক্ষিত হলে আয়কর আইন অনুযায়ী মূল রিটার্ন দাখিলের ১৮০ দিনের মধ্যে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করা যায়। এ অবস্থায় যেসব করদাতা অনলাইনে মূল আয়কর রিটার্ন দাখিলের পর ভুলত্রুটির কারণে অনলাইনে সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে চান, তাদের জন্য অনলাইনে সংশোধিত আয়কর রিটার্ন দাখিলের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। তবে যেসব করদাতা সংশোধন অপশন ব্যবহারের জন্য অনলাইনে প্রবেশ করবেন, তাদেরকে অবশ্যই সংশোধিত রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
অন্যদিকে সুপারশপের ভ্যাট আদায় বিষয়ে স্পষ্টীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৯ জানুয়ারি ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক অধ্যাদেশের মাধ্যমে ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ করা হয়েছে। তাই সুপারশপের ক্ষেত্রে ভ্যাট হার সাড়ে ৭ শতাংশ প্রযোজ্য হবে। তবে যেসব পণ্যের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের মধ্যে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, সেসব পণ্য কেনায় বাড়তি ভ্যাট দিতে হবে না।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সুপারশপে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে (এমআরপি) পণ্য সরবরাহ করা হলে ওই মূল্যের মধ্যে ভ্যাট অন্তর্ভুক্ত থাকায় ভ্যাট বাবদ অতিরিক্ত অর্থ ভোক্তার কাছ থেকে আদায়ের সুযোগ নেই। এছাড়া ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদানকারী সুপারশপগুলো আইনের অন্য বিধানাবলি পরিপালন সাপেক্ষে উপকরণ রেয়াত নিতে পারবেন। তবে সাড়ে সাত শতাংশ হারে ভ্যাট প্রদান করা হলে রেয়াত গ্রহণের আইনগত সুযোগ নেই। উৎস: যুগান্তর।